ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না’

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
  • 66

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিএনপির মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ভাবাদর্শের রাজনৈতিক দলের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবসে নুর হোসেন চত্বরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নূর হোসেন সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একজন সাহসী বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। নূর হোসেন নিজের বুকে পিঠে লিখেছিলেন, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। সেদিন নূর হোসেনের শরীর ছিল জীবন্ত রাজনৈতিক পোস্টার। শহীদ নূর হোসেন বাঙালির মনে সংগ্রামের অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আজ গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে, ৩০ লাখ শহীদের আকাঙ্ক্ষার অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে, সত্যিকারের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।

বিএনপিকে গণতন্ত্রের পথে, রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন, গণতন্ত্রকে বিনষ্টের চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। ষড়যন্ত্র আর পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতি পরিহার করুন। আসুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হই।

তিনি আরও বলেন, বন্দি গণতন্ত্র শৃংখল মুক্ত হয়েছে নূর হোসেনের রক্তে। গণতন্ত্র মুক্তি পেলেও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান হোক এবারের নূর হোসেন দিবসের অঙ্গীকার।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের এইদিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান ধারণ করে শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগের এই দিবসটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।

শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।

শহীদ নূর হোসেন দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/১০ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না’

পোস্ট হয়েছে : ০২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিএনপির মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ভাবাদর্শের রাজনৈতিক দলের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবসে নুর হোসেন চত্বরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নূর হোসেন সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একজন সাহসী বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। নূর হোসেন নিজের বুকে পিঠে লিখেছিলেন, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। সেদিন নূর হোসেনের শরীর ছিল জীবন্ত রাজনৈতিক পোস্টার। শহীদ নূর হোসেন বাঙালির মনে সংগ্রামের অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আজ গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে, ৩০ লাখ শহীদের আকাঙ্ক্ষার অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে, সত্যিকারের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।

বিএনপিকে গণতন্ত্রের পথে, রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন, গণতন্ত্রকে বিনষ্টের চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। ষড়যন্ত্র আর পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতি পরিহার করুন। আসুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হই।

তিনি আরও বলেন, বন্দি গণতন্ত্র শৃংখল মুক্ত হয়েছে নূর হোসেনের রক্তে। গণতন্ত্র মুক্তি পেলেও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান হোক এবারের নূর হোসেন দিবসের অঙ্গীকার।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের এইদিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান ধারণ করে শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগের এই দিবসটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।

শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।

শহীদ নূর হোসেন দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/১০ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: