বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে একযোগে ১ হাজার ৩৫০ জন কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই ব্যাপক ছাঁটাই কার্যক্রমে সিভিল সার্ভিস ও ফরেন সার্ভিস— দুই ধরনের কর্মকর্তাই অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই ব্যাপক ছাঁটাই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন সিভিল সার্ভিস ও ফরেন সার্ভিস—উভয় শ্রেণির কর্মকর্তা। ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি আরও প্রায় ১,৬০০ কর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন বলেও জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক সরকারি নোটিশে বলা হয়, মোট ১,১০৭ জন সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা এবং ২৪৬ জন ফরেন সার্ভিস অফিসারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। দপ্তরের ভাষ্যমতে, বর্তমান বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে যাদের ভূমিকা সাযুজ্যপূর্ণ নয়, তাদেরই ছাঁটাইয়ের আওতায় আনা হয়েছে।
এই পদক্ষেপকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি একটি ‘কৌশলগত পুনর্গঠন পরিকল্পনা’র অংশ, যার অনুমোদন দেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। পরিকল্পনাটি অনুমোদিত হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “নতুন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দপ্তরের কাঠামো ঢেলে সাজানো হচ্ছে, যাতে দক্ষ ও প্রাসঙ্গিক জনবল নিশ্চিত করা যায়।” তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ছাঁটাইয়ের ফলে সরকারের কতটুকু অর্থ সাশ্রয় হবে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
অভ্যন্তরীণভাবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিশেষ করে ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বহু বছর ধরে যারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন, হঠাৎ ছাঁটাইয়ের মুখে পড়ায় তারা দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া, মানবাধিকার ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংগঠন এই সিদ্ধান্তকে প্রশাসনের ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা ও কূটনৈতিক দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ’ বলেও মন্তব্য করেছে।
বিজনেস আওয়ার/ ১২ জুলাই / হাসান