স্পোর্টস ডেস্ক : পাঁচ দল নিয়ে আয়োজিত হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে অংশ নেওয়ার জন্য প্রাথমিক ড্রাফটে থাকা ক্রিকেটাররা ফিটনেস টেস্ট দিচ্ছেন। মঙ্গলবার হওয়া দ্বিতীয় দিনের ফিটনেস পরীক্ষায় ফেল করেছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
পাশ মার্কের চাইতে একটু কম হলেও হয়তো নিজেকে আশ্বস্ত করা যায়। কিন্তু নাসির হোসেন যেন তার ধারের কাছেও গেলেন না! ফিটনেস টেস্টে ডাহা ফেল মেরে বসলেন। বিপ টেস্টে পাশ করতে তাকে পেতে হতো ১১ অথচ তিনি কীনা পেলেন মাত্র ৮.৫!
ফিটনেস টেস্ট নেওয়ার আগে বিসিবির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ১১ পয়েন্ট না পেলে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া হবে না। তার বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে তাই খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
যেখানে জুনায়েদ সিদ্দিকি, এনামুল হক জুনিয়র, জহুরুল হকের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার ভালো স্কোর করেছেন। সহজেই পার হয়ে গেছেন আব্দুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফিস এবং মোহাম্মদ আশরাফুলের মতো ক্রিকেটার।
সেখানে নাসিরের এই ফিটনেস ফর্ম হতাশ করার মতো। জাতীয় দলে বাংলাদেশের সেরা ফিল্ডারদের একজন হয়ে ওঠা নাসির হোসেন ফিটনেসের মাপকাঠির তাদের ধারে কাছেই যেতে পারেননি।
এদিকে নাসিরের ফিটনেসের এমন করুণ দশা দেখে বেজায় চটেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। রেগে মেগে তাকে খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিতে বাধ্য হলেন।
নান্নু বলেন, ‘ওর তো খুব খারাপ অবস্থা। ও খেলতে পারবে না। যারা ফেল করছে তাদের আর কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না। দেখেন, ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে হলেও অনুশীলন করতে হয়। আপনি এসেই তো আর পাশ করতে পারবেন না তাই না?
রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফিস ভালো করেছে এতে ওর শিক্ষা হয়নি? নিক লি দেখে হাসছে। লজ্জাজনক! একজন জাতীয় পর্যায়ের প্লেয়ার, প্রথম শ্রেণির চুক্তিভুক্ত প্লেয়ার, তার ফিটনেস লেভেলে হলো ৮! আমার মনে হচ্ছে নাসিরের ক্রিকেট খেলার ইচ্ছেই নেই।
বিজনেস আওয়ার/১০ নভেম্বর, ২০২০/এ