ঢাকা , বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির নামে মামলা

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • 21

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য প্রার্থীদের অবৈধভাবে পাস করিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৭ জুলাই) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

ড. মো. শহীদুর রহমান ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার, শাখা কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মুরাদ বিল্লাহ, অফিস সহকারী আনিসুর রহমান রিন্টু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ, খায়রুল বাসার রিয়াজ, কম্পিউটার অপারেটর মো. মাসুদ রানা, শাহরীন ইসলাম মীম, ল্যাব টেকনিশিয়ান রীনা খাতুন, অফিস সহকারী এ বি এম আরিফুল ইসলাম তুরান, মো. শহিদুল ইসলাম, ল্যাব এটেন্ডেন্ট মো. আসিফ আহমেদ, দিদারুল আলম, মো. হাবিবুর রহমান, অফিস সহায়ক হাবিবুর রহমান ও আছিয়া খাতুন।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া, যোগ্যপ্রার্থীদের বঞ্চিত করা এবং ভুয়া নথিপত্র তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। পাস না করা প্রার্থীদের পাস করিয়ে দেখানো হয়, আবার কাগজপত্রে ভুয়া স্বাক্ষর ও সুপারিশ যুক্ত করা হয়। ফলে যোগ্যপ্রার্থীরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, মামলার প্রধান আসামি অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খান ছাড়াও আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নিয়োগ পাওয়া রেজিস্ট্রার, কয়েকজন কর্মকর্তা, সহকারী, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও অফিস সহায়ক।

মামলায় অবৈধভাবে পাস করিয়ে যোগ্যপ্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে অযোগ্য প্রার্থী হিসাবে ৩ নম্বর থেকে ১৭ নম্বর আসামিদের নিয়োগ দিয়ে দণ্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৮ জুলাই / কাওছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির নামে মামলা

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য প্রার্থীদের অবৈধভাবে পাস করিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৭ জুলাই) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

ড. মো. শহীদুর রহমান ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার, শাখা কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মুরাদ বিল্লাহ, অফিস সহকারী আনিসুর রহমান রিন্টু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ, খায়রুল বাসার রিয়াজ, কম্পিউটার অপারেটর মো. মাসুদ রানা, শাহরীন ইসলাম মীম, ল্যাব টেকনিশিয়ান রীনা খাতুন, অফিস সহকারী এ বি এম আরিফুল ইসলাম তুরান, মো. শহিদুল ইসলাম, ল্যাব এটেন্ডেন্ট মো. আসিফ আহমেদ, দিদারুল আলম, মো. হাবিবুর রহমান, অফিস সহায়ক হাবিবুর রহমান ও আছিয়া খাতুন।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া, যোগ্যপ্রার্থীদের বঞ্চিত করা এবং ভুয়া নথিপত্র তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। পাস না করা প্রার্থীদের পাস করিয়ে দেখানো হয়, আবার কাগজপত্রে ভুয়া স্বাক্ষর ও সুপারিশ যুক্ত করা হয়। ফলে যোগ্যপ্রার্থীরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, মামলার প্রধান আসামি অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খান ছাড়াও আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নিয়োগ পাওয়া রেজিস্ট্রার, কয়েকজন কর্মকর্তা, সহকারী, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও অফিস সহায়ক।

মামলায় অবৈধভাবে পাস করিয়ে যোগ্যপ্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে অযোগ্য প্রার্থী হিসাবে ৩ নম্বর থেকে ১৭ নম্বর আসামিদের নিয়োগ দিয়ে দণ্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৮ জুলাই / কাওছার

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: