ঢাকা , সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিনেমা বাঁচাতে ১০০টি হল নির্মাণ করবেন প্রসেনজিৎ

  • পোস্ট হয়েছে : ৩১ মিনিট আগে
  • 2

বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আবারও প্রমাণ করলেন, তিনি শুধু পর্দার নায়ক নন বরং ইন্ডাস্ট্রির প্রকৃত অভিভাবকও। বাংলা সিনেমার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এবার তিনি এগিয়ে এসেছেন এক ব্যতিক্রমধর্মী ও সাহসী উদ্যোগ নিয়ে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রসেনজিৎ ঘোষণা দেন, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ১০০টি আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণ করবেন তিনি। উদ্দেশ্য হলো দর্শকদের আবার সিনেমা হলমুখী করে বাংলা চলচ্চিত্রকে বাঁচানো।

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘সিনেমা শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটা আমাদের সংস্কৃতি, আত্মপরিচয় আর গভীর আবেগের জায়গা। আগে প্রতিটি শহরেই একাধিক সিনেমা হল ছিল। মানুষ পরিবারসহ হলে গিয়ে সিনেমা দেখত। এখন সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। আমি চাই নতুন প্রজন্ম ফের ফিরে পাক হলের সেই অভিজ্ঞতা।’

এই ১০০টি সিনেমা হল হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে থাকবে উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম, আরামদায়ক আসন, ডিজিটাল প্রজেকশন এবং মাল্টিপ্লেক্সের আদলে বিন্যাস। শুধু তাই নয়, এই হলগুলোতে স্থানীয় নির্মাতাদের জন্য আলাদা অগ্রাধিকার থাকবে।

প্রসেনজিতের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রির অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, যখন একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তখন এমন সাহসী পদক্ষেপ বাংলা চলচ্চিত্রের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজনেস আওয়ার/ ২৮ জুলাই / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সিনেমা বাঁচাতে ১০০টি হল নির্মাণ করবেন প্রসেনজিৎ

পোস্ট হয়েছে : ৩১ মিনিট আগে

বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আবারও প্রমাণ করলেন, তিনি শুধু পর্দার নায়ক নন বরং ইন্ডাস্ট্রির প্রকৃত অভিভাবকও। বাংলা সিনেমার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এবার তিনি এগিয়ে এসেছেন এক ব্যতিক্রমধর্মী ও সাহসী উদ্যোগ নিয়ে।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রসেনজিৎ ঘোষণা দেন, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ১০০টি আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণ করবেন তিনি। উদ্দেশ্য হলো দর্শকদের আবার সিনেমা হলমুখী করে বাংলা চলচ্চিত্রকে বাঁচানো।

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘সিনেমা শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটা আমাদের সংস্কৃতি, আত্মপরিচয় আর গভীর আবেগের জায়গা। আগে প্রতিটি শহরেই একাধিক সিনেমা হল ছিল। মানুষ পরিবারসহ হলে গিয়ে সিনেমা দেখত। এখন সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। আমি চাই নতুন প্রজন্ম ফের ফিরে পাক হলের সেই অভিজ্ঞতা।’

এই ১০০টি সিনেমা হল হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে থাকবে উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম, আরামদায়ক আসন, ডিজিটাল প্রজেকশন এবং মাল্টিপ্লেক্সের আদলে বিন্যাস। শুধু তাই নয়, এই হলগুলোতে স্থানীয় নির্মাতাদের জন্য আলাদা অগ্রাধিকার থাকবে।

প্রসেনজিতের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রির অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, যখন একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তখন এমন সাহসী পদক্ষেপ বাংলা চলচ্চিত্রের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজনেস আওয়ার/ ২৮ জুলাই / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: