1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
৪৮ বছরে যুবলীগ
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন

৪৮ বছরে যুবলীগ

  • পোস্ট হয়েছে : বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।

সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করা। অতীত ঐতিহ্য ধরে রেখে সামনের পথ চলাই এখন এই সংগঠনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে বর্তমানে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের এই দিনে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সংগঠনটি। গত চার দশকের বেশি সময় ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারও নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

পরে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি এই যুব সমাজকে সংগঠিত করতেই গড়ে তোলেন যুবলীগ। প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ মণি নিজেই। স্বাধীনতার পর যুবলীগ জিয়া-এরশাদ-খালেদার স্বৈরাচারী শাসনামলেও অকুতোভয়ে সংগ্রাম করেছেন। নির্যাতিত হয়েছেন এই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ও রক্ষায় সংগঠনটির অবদান অনস্বীকার্য।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত সাতটি জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালের প্রথম জাতীয় কংগ্রেসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ৩২ বছর। ওই সময় যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৪০ বছরের একটি বয়সসীমার বিধান ছিল।

১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির দ্বিতীয় জাতীয় কংগ্রেসে ওই বিধানটি বিলুপ্ত করা হয়। ওই বছর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কংগ্রেসে ৩৮ বছর বয়সী আমির হোসেন আমু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোস্তফা মহসীন মন্টু।১৯৯৬ সালের চতুর্থ জাতীয় কংগ্রেসে ৪৭ বছর বয়সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

২০০৩ সালের পঞ্চম জাতীয় কংগ্রেসে ৪৯ বছর বয়সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ কমিটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে। ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনটির ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস। এ কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। আর ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ পরশ।

টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। যে কারণে ক্ষমতাসীন সংগঠনের সহযোগী সংগঠন হিসেবে যুবলীগের সাংগঠনিক পরিচয়ে কেউ কেউ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটি থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতৃত্ব অনেকের বিরুদ্ধে ক্লাব পরিচালনার আড়ালে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগ ওঠে।

এমন অভিযোগে সংগঠনের প্রভাবশালী নেতাদের কেউ কেউ গ্রেফতারও হয়েছেন। কেউ কেউ টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কারও হন। সব মিলিয়ে ভাবমূর্তির সংকটে পড়ে এই সংগঠনটি। সেই সংকট কাটিয়ে উঠতেই যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।

‘স্মার্ট, নির্ভীক ও স্বচ্ছ’ নেতৃত্ব হিসেবে যুবলীগের কংগ্রেসে চেয়ারম্যান হিসেবে হাল ধরেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। আর পরশের ‘রানিং মেট’ তথা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তৃণমূলের নেতৃত্ব থেকে গড়ে ওঠা মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

যুবলীগের শীর্ষ দুই পদের নেতৃত্ব সমন্বয়ে কেবল ভাবমূর্তিতে স্বচ্ছ নয়, রাজপথের নির্ভীক ও সাহসী নেতৃত্বের বিষয়টিও মাথায় রেখে নেতৃত্ব উপহার দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে সপ্তম কংগ্রেস হলেও এখনো সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া আটকে আছে।

যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশ-বিদেশের প্রতিটি ইউনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগের প্রতিটি ইউনিট বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়াও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হবে।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল দেশবাসীসহ যুব সমাজকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/১১ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ