বিনোদন ডেস্ক: দক্ষিণী সিনেমার খ্যাতিমান অভিনেতা কলাভবন নবাসের রহস্যজকন মৃত্যু হয়েছে। হোটেলের ঘর থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সংবাদ সংস্থা ‘পিটিআই’ জানিয়েছে, কোচির ছোটানিক্কারার একটি হোটেলে ছিলেন কলাভবন। একটি সিনেমার শুটিং চলছিল। কাজ সেরে ওই হোটেলেই থাকতেন। শুক্রবার (১ আগস্ট) হোটেল ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও, চেকআউট করেননি তিনি।
কলাভবনের দেখা না পেয়ে তার এক সহযোগী হোটেলের ঘরে যান। সেখানেই অচেতন অবস্থায় অভিনেতাকে দেখতে পান। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কলাভবনকে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা জানান, কলাভবনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে ৫১ বছর বয়স হয়েছিল অভিনেতার।
অভিনেতার সহযোগীরা জানিয়েছেন, শুটিং শেষ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় হোটেলের কক্ষে পৌঁছান কলাভবন। চেকআউট করার কথাও ছিল তার। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও চেকআউট করেননি তিনি। এতেই টনক নড়ে সবার। কিন্তু যতক্ষণে হোটেলের ঘরে পৌঁছান সবাই, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। কলাভবনের সতীর্থরা জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে যখন সেট ছেড়ে বের হন কলাভবন, সেই সময়ও ঠিক ছিলেন তিনি। জানান, দুদিনের ছুটি পেয়েছেন শুটিং থেকে। তাই বাড়ি যাচ্ছেন। তারপর কী হলো, বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ।
কলাভবনের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ‘পিটিআই’ জানিয়েছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত হবে তার। এরপর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই কলাভবনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
১৯৭৪ সালে কেরালার ওয়াডাকাঞ্চেরিতে জন্ম কলাভবনের। তার বাবা, আবু বকরও থিয়েটার ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। অনুকরণ শিল্পী হিসেবে মঞ্চ থেকে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন কলাভবন। শৈশব থেকে দারিদ্র সঙ্গী ছিল। ১৯৯৫ সালে ‘চৈত্যনম’ সিনেমায় প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান।
সাধারণত কৌতুকাভিনেতার চরিত্রেই অভিনয় করেন কলাভবন। অভিনেত্রী রেহানা তার স্ত্রী। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। তার বড় মেয়ে ২০২১ সালে অভিনয়ে পা রাখেন।
বিজনেস আওয়ার/ ০২ আগস্ট / রানা