বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: পাকিস্তানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি,আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২৬০। বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যাওয়ার বন্যার পাশাপাশি বড় ধরনের ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে অনেক জায়গায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর ও বাটগ্রাম।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে বহু মানুষ ভূমিধসে চাপা পড়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কেবল বুনেরেই ২১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে গাডেজি তহশিলেই মারা গেছেন ১২০ জন। চাঘারজাই এলাকায় একটি ভবন চাপা পড়ে একই পরিবারের ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।এদিকে বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যেতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হন। অন্যদিকে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভূমিধসে আটজন নিহত হয়েছেন। নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় আটকা পড়েছেন প্রায় ৫০০ পর্যটক।
প্রাদেশিক ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানান, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ২০০, গিলগিত বালতিস্তানে ১২ এবং আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য তারা নিশ্চিত করতে পেরেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাদেশিক ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানান, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ২০০, গিলগিত বালতিস্তানে ১২ এবং আজাদ জম্মু-কাশ্মীরে ১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য তারা নিশ্চিত করতে পেরেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনডিএমএ) জানায়, দুর্যোগে দেশব্যাপী অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, বহু বাড়ি ভেসে গেছে এবং একাধিক এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মোবাইল ফোন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্যার কবলে পড়া অঞ্চলগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর জরুরিভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবার (১৭ আগস্ট) শোক দিবস পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গিলগিত বালতিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে এনডিএমএকে নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।
বিজনেস আওয়ার/ ১৬ আগস্ট / হাসান