ঢাকা , শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠান পরিণত হলো বিষাদে, ২৪ জনের মৃত্যু

  • পোস্ট হয়েছে : ৪ মিনিট আগে
  • 2

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বিয়ের দুই দিন আগে নূর মুহাম্মদ তার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলেছিলেন। এর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় তার মায়ের সাথে পরিবারের ২৩ জন সদস্য ও স্বজনের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, আমি বোঝাতে পারব না যে সে কতটা খুশি ছিল। কাদির নগর গ্রামে আকস্মিক বন্যা তিনি তার মা ও স্বজনদের হারিয়েছেন।

৩৬ কক্ষবিশিষ্ট বিশাল একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ছেলের বিয়ের খুশিতে আত্মহারা ছিলেন নূর মুহাম্মদের মা। কিন্তু বন্যায় তাদের সব স্বপ্ন নিমেষেই ছাই হয়ে গেছে।

পাহাড়ি বুনের জেলার এই গ্রামটি সাম্প্রতিক সময়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে বুনের শহরে যেতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার মতে লাগে।

২৫ বছর বয়সী নূর মুহাম্মদ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, তখন ধ্বংসস্তূপ এবং ভারী পাথর ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।

তিনি বলেন, বন্যা এলো। এক বিরাট বন্যা এলো যা সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেল। আমাদের বাড়ি, মা, বোন, ভাই, আমার কাকা, দাদা এবং ছোট ছোট শিশুরাও প্রাণ হারিয়েছে।

নূর মুহাম্মদ মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। গত ‌(১৫ আগস্ট) তিনি মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নামেন। তার বাড়িতে পুরোদমে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানের বদলে তাকে তার স্বজনদের জানাজায় অংশ নিতে হয়।

তিনি বলেন, তার মা, এক ভাই এবং এক বোন বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন। সৌভাগ্যক্রমে তার বাবা এবং আরেক ভাই বেঁচে গেছেন কারণ তারা তাকে বিমানবন্দরে নিতে গিয়েছিলেন। তার বাগদত্তাও ভয়াবহ এই দুর্যোগ থেকে বেঁচে গেছেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ আগস্ট / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পাকিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠান পরিণত হলো বিষাদে, ২৪ জনের মৃত্যু

পোস্ট হয়েছে : ৪ মিনিট আগে

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বিয়ের দুই দিন আগে নূর মুহাম্মদ তার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলেছিলেন। এর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় তার মায়ের সাথে পরিবারের ২৩ জন সদস্য ও স্বজনের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, আমি বোঝাতে পারব না যে সে কতটা খুশি ছিল। কাদির নগর গ্রামে আকস্মিক বন্যা তিনি তার মা ও স্বজনদের হারিয়েছেন।

৩৬ কক্ষবিশিষ্ট বিশাল একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ছেলের বিয়ের খুশিতে আত্মহারা ছিলেন নূর মুহাম্মদের মা। কিন্তু বন্যায় তাদের সব স্বপ্ন নিমেষেই ছাই হয়ে গেছে।

পাহাড়ি বুনের জেলার এই গ্রামটি সাম্প্রতিক সময়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে বুনের শহরে যেতে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার মতে লাগে।

২৫ বছর বয়সী নূর মুহাম্মদ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসেন, তখন ধ্বংসস্তূপ এবং ভারী পাথর ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।

তিনি বলেন, বন্যা এলো। এক বিরাট বন্যা এলো যা সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেল। আমাদের বাড়ি, মা, বোন, ভাই, আমার কাকা, দাদা এবং ছোট ছোট শিশুরাও প্রাণ হারিয়েছে।

নূর মুহাম্মদ মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। গত ‌(১৫ আগস্ট) তিনি মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নামেন। তার বাড়িতে পুরোদমে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানের বদলে তাকে তার স্বজনদের জানাজায় অংশ নিতে হয়।

তিনি বলেন, তার মা, এক ভাই এবং এক বোন বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন। সৌভাগ্যক্রমে তার বাবা এবং আরেক ভাই বেঁচে গেছেন কারণ তারা তাকে বিমানবন্দরে নিতে গিয়েছিলেন। তার বাগদত্তাও ভয়াবহ এই দুর্যোগ থেকে বেঁচে গেছেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ আগস্ট / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: