বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গত এক মাসে শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের ৭৮১টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে। তবে বিদেশি ও প্রবাসীদের উপস্থিতি কমলেও বাড়ছে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা, যা বাজারে ইতিবাচক ধারা তৈরি করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার শুরু করেন। চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত এ সময়ে তাদের বিও হিসাব কমেছে ৯ হাজার ১৭৬টি।
২০ মে থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত এক মাসের জন্য বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব সামান্য বেড়েছিল—মাত্র ৭৪টি। তবে এর পর থেকে আবারও কমতে শুরু করে এবং সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসজুড়েও সেই ধারা অব্যাহত থাকে। অথচ আগস্ট মাসে সূচক ও লেনদেন উভয়ই ইতিবাচক প্রবণতায় ছিল।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারবাজারে মোট বিও হিসাব রয়েছে ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ২১১টি। এক মাস আগেও, ৩১ জুলাই, এই সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৮টি। অর্থাৎ আগস্টে মোট ৩৭টি বিও হিসাব কমেছে, যার প্রধান কারণ বিদেশি ও প্রবাসীদের শেয়ারবাজার থেকে সরে যাওয়া।
বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ৪৩ হাজার ৭৭২টি। ৩১ জুলাই এ সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৫৫৩টি। ফলে আগস্ট মাসেই কমেছে ৭৮১টি হিসাব।
২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। সেই হিসেবে নভেম্বর ২০২৩ থেকে চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ৭৪০টি বিও হিসাব কমেছে।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে হলে ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকে একটি বিও হিসাব খুলতে হয়। এই হিসাব ছাড়া শেয়ার কেনাবেচা সম্ভব নয়। সব বিও হিসাবের তথ্য সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে সিডিবিএল।
বিজনেস আওয়ার/ ০৭ সেপ্টেম্বর / এ এইচ