বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়। একই সাথে গণতন্ত্রের এবং মানুষের অধিকারগুলো ফিরিয়ে আনতে চায়। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্নে দেখেছি। এখানে সমাজ হবে গণতান্ত্রিক, একটি মুক্ত সমাজ থাকবে। মানুষ সুযোগগুলো পাবে, যার মাধ্যমে সে নিজেকে বিকশিত করতে পারবে। যার যতটুকু সৃজনশীলতা আছে সে সেটাকে কাজে লাগাতে পারবে। কিন্তু দিন দিন সেই গণতন্ত্রকে হরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এই সরকার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যে সমাজ নির্মাণের কথা ছিল তা এখন অনুপস্থিত। আমরা গত ১০-১১ বছর ধরে এই কথা বলছি। ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের স্পেস ধ্বংস করা হয়েছে। মূলত ওয়ান-এলিভেনের থেকে বাংলাদেশে একটি বিরাজনীতিকরণ শুরু হয়েছে। তখন মাইনাস ফর্মুলা হয়। বাংলাদেশের প্রধান যে দুই নেত্রী শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়াকে সরাতে ষড়যন্ত্র হয়। যারা এই চক্রান্ত করছিল, যারা এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে, পরবর্তীতে তারা মাইনাস ওয়ানে চলে আসে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সবসময় একটা প্রবলেম ছিল। এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে সুস্থ করার জন্য অনেকেই কথা বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের যে পলিটিকাল কালচার তৈরি হয়েছে সেই পলিটিকাল কালচারে দেখা গেছে, যে ক্ষমতায় থাকে সব সময় সে নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই পুরো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে।
বিজনেস আওয়ার/১৩ নভেম্বর, ২০২০/কমা