বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : চলন্ত লঞ্চ থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। শনিবার(১৪ নভেম্বর) রাতে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
ঝাঁপ দেয়ার ঘণ্টাখানেক পর তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা৷ বর্তমানে তিনি স্থানীয় এক মেম্বরবাড়ীতে হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জানা গেছে, লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ডেকে স্কুলশিক্ষিকা তাঁর মা ও খালার সাথে ঢাকা যাচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে লঞ্চটি তালতলী ও চরমোনাই নদী মোহনায় গেলে ওই শিক্ষিকা হঠাৎ ঝাপিয়ে পড়েন।
সুন্দরবন লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানায়, লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় পেছনের অংশে বাম পাশে স্কুলশিক্ষিকা তার মা ও খালার সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় আচমকা তাকে উত্তেজিত নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখা যায়।
সাথে সাথে লঞ্চটি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং নারীকে খুঁজতে শুরু করলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে লঞ্চের স্টাফরা মাইকিং করে এক নারী পড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করে আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে এক নারী ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি থামিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক খোঁজ করে পাওয়া না গেলে আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই৷
তিনি আরো জানান, ঘটনার পরপরই লঞ্চের পক্ষ থেকে স্থানীয় জেলেদের উদ্দেশ করে মাইকিং করে ওই নারী কে খোঁজ করতে অনুরোধ জানানো হয়৷ পরে রাত ১১টার দিকে খবর আসে ওই শিক্ষিকাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে জেলেরা।
বরিশাল সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শনিবার রাতেই স্থানীয় জেলেরা নারীকে উদ্ধারের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বর) জুয়েলের হেফাজতে রেখেছেন। পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে তাকে।
বিজনেস আওয়ার/১৫ নভেম্বর, ২০২০/এ