1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
লোকসানে ১১২ টাকা ইস্যু মূল্যের রপ্তানীর শীর্ষ কোম্পানি এমআই সিমেন্ট
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন

লোকসানে ১১২ টাকা ইস্যু মূল্যের রপ্তানীর শীর্ষ কোম্পানি এমআই সিমেন্ট

  • পোস্ট হয়েছে : রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : হোয়াট হ্যাপেনড কুদ্দুস? লুক স্যার ক্রাউন সিমেন্ট, সো? মেড ইন বাংলাদেশ স্যার! ইওর বিল্ডিং মাই কান্ট্রিজ সিমেন্ট স্যার! উই আর ভেরি প্রাউড স্যার! এভাবে প্রবাসিদের নিয়ে গর্বিত করে প্রচারনা চালালেও ক্রাউন ব্র্যান্ডের এমআই সিমেন্ট নিয়মিত হতাশ করছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের।

এমআই সিমেন্টের পণ্যের উপর বিশ্ব আস্থা রাখে বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও শেয়ারবাজারে অনাস্থায় ডুবছে। ক্রাউন সিমেন্ট রপ্তানির শীর্ষ ও বাংলাদেশের গ্লোবাল সিমেন্ট বলে দাবি করা কোম্পানিটিই এখন লোকসানে নিমজ্জিত।

ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে বুক বিল্ডিংয়ে উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে এ কোম্পানিটি। তবে কয়েক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব শেয়ারপ্রতি ৯.৩৯ টাকার মুনাফা এখন লোকসান ০.৮৯ টাকা। যে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করে ক্যাপিটাল ও লভ্যাংশ উভয় ক্ষেত্রেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে।

কোম্পানিটি ২০১০-১১ অর্থবছরে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসে। ওইসময় প্রতিটি শেয়ার ১১১.৬০ টাকা করে ইস্যু করে। এতে প্রতিটি শেয়ারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১০১.৬০ টাকা। কিন্তু সেই কোম্পানি সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যবসায় মাত্র ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। যা ইস্যু মূল্য বিবেচনায় ১ শতাংশেরও কম বা ০.৯০ শতাংশ।

এ কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে ২০১১ সালে ৩৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে প্রতি শেয়ারে ব্যয় (কস্ট) দাড়াঁয় ৮২.৬৭ টাকা। এরপরে ২০১২ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার পরে তা নেমে আসে ৭৫.১৫ টাকায়। এখন সেই কস্ট ভ্যালুর বাজার দর আছে ৪৩.৮০ টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারে ক্যাপিটাল লোকসান আছে ৩১.৩৫ টাকা।

এদিকে ওই ৭৫.১৫ টাকায় গত ১০ বছরে লভ্যাংশ পাওয়া গেছে ১৭ টাকা (২০ সালের ঘোষিত ১ টাকাসহ)। তবে ৭৫.১৫ টাকা ব্যাংকে এফডিআরে ৫ শতাংশ সুদেও বছরে ৩.৭৬ টাকা পাওয়া যেত। যাতে ১০ বছরে আসত ৩৭.৬০ টাকা। একইসঙ্গে ৩১.৩৫ টাকা ক্যাপিটাল লোকসান থেকে রক্ষা হত।

এমআই সিমেন্ট থেকে ২০১৩ সালে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়। এরপরে ২০১৪ সালে কমিয়ে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। যা ধারাবাহিকভাবে কমে ২০১৫ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশ ও ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। আর ২০২০ সালে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যা বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন……

এমআই সিমেন্টের প্রত্যেক পরিচালককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
দীর্ঘদিন ধরে পরিচালকদের ব্যক্তিগত কোম্পানিতে বিনাসুদে শত শত কোটি টাকার ঋণ প্রদান

২৫ টাকা ইস্যু মূল্যের বেঙ্গল উইন্ডসোরের ‘নো’ ডিভিডেন্ড
ওষুধ কোম্পানি হয়েও করোনায় সেন্ট্রাল ফার্মার বড় লোকসান
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স নিয়ে বিএসইসির কঠোর অবস্থান, কি পেল বিনিয়োগকারীরা!
রাইটে বড় অর্থ সংগ্রহের পরেও জিপিএইচ ইস্পাতের নিয়মিত বোনাস শেয়ার ঘোষণা
গোল্ডেন হার্ভেস্টের রাইটে ৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের বছর পার না হতেই ‘নো’ ডিভিডেন্ড
শেয়ারবাজারে উচ্চ মূল্যে শেয়ার ইস্যুর পর থেকেই তসরিফার মুনাফা নিম্নমুখী, এবার বড় লোকসান

৮০ টাকা কাট-অফ প্রাইসের বসুন্ধরার ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা

এসিআইয়ের একক ব্যবসায় ১৭২ কোটি টাকা মুনাফা হলেও সাবসিডিয়ারিতে লোকসানে ডুবছে

লভ্যাংশ কি, এ বছর তা দেখিয়ে দিয়েছে খুলনা প্রিন্টিং

গত ৩০ জুন কোম্পানিটির ব্যবসায়িক মন্দাবস্থার কারনে জানতে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোন কথা বলবেন না বলে জানান এমআই সিমেন্টের সচিব মজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব বিষয়ে আর্থিক হিসাবে বিস্তারিত দেওয়া আছে, সেখান থেকে যা জানার, তা জেনে নিতে পারবেন। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ব্যবসায় মন্দার কারন হিসেবে সুদজনিত ব্যয় বৃদ্ধি, ট্যাক্স বৃদ্ধি ও সুদজনিত আয় হ্রাস পাওয়াকে উল্লেখ করেছিল। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৫ নভেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ