বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দোকানের সেলসম্যান থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে র্যাব বাদী হয়ে এই তিনটি মামলা দায়ের করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বিনা রাণী দাশ বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। মোট তিন মামলায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২১ নভেম্বর) আটক করার পর র্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার মামলা এবং তাকে থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
তিনি বলেন, গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে র্যাব। রোববার (২২ নভেম্বর) তাকে এ তিন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিটি মামলায় সাতদিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার নিজ বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া, তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দু’টি বিলাশবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়, যার প্রতিটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। এছাড়া, তার ‘অটো কার সিলেকশন’ নামের গাড়ির শোরুম থেকে আরও তিনটি অনুমোদনহীন বিলাশবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় অনুসন্ধান শেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। এর আগেও গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে এবং রাজউকের একটি মামলা রয়েছে। মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণের চোরাকারবারি।
বিজনেস আওয়ার/২২ নভেম্বর, ২০২০/এ