ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয় দিবসে প্যারেড গ্রাউন্ডের কুচকাওয়াজ হবে না

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০
  • 42

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুশাসন দিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ভার্চুয়াল সভার কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কার্যপত্রে বলা হয়, বিজয় দিবস সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রথম সভায় একটি বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কর্মসূচি উপস্থাপন করা হলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থাকায় জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান এ বছর রাখা সম্ভব নয় বলে তিনি সদয় অনুশাসন দিয়েছেন।

অন্যান্য কর্মসূচিগুলো সীমিত আকারে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সবার সঙ্গে আলোচনা করে সীমিত আকারে একটি কর্মসূচি প্রণয়ন করার জন্য দ্বিতীয় সভা আহ্বান করা হয়।

সাধারণত বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজে থাকে বিমানবাহিনীর আকর্ষনীয় অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে।

কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক ও আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকেন।

মুক্তিযু্দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এরার বিজয় দিবসে ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা ও দেশের সকল জেলা উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনি হবে। বিজয় দিবসের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

এছাড়া ভার্চুয়ালি ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভা হবে।

বিজনেস আওয়ার/২২ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিজয় দিবসে প্যারেড গ্রাউন্ডের কুচকাওয়াজ হবে না

পোস্ট হয়েছে : ১২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুশাসন দিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ভার্চুয়াল সভার কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কার্যপত্রে বলা হয়, বিজয় দিবস সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রথম সভায় একটি বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কর্মসূচি উপস্থাপন করা হলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থাকায় জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান এ বছর রাখা সম্ভব নয় বলে তিনি সদয় অনুশাসন দিয়েছেন।

অন্যান্য কর্মসূচিগুলো সীমিত আকারে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সবার সঙ্গে আলোচনা করে সীমিত আকারে একটি কর্মসূচি প্রণয়ন করার জন্য দ্বিতীয় সভা আহ্বান করা হয়।

সাধারণত বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজে থাকে বিমানবাহিনীর আকর্ষনীয় অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে।

কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক ও আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকেন।

মুক্তিযু্দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এরার বিজয় দিবসে ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা ও দেশের সকল জেলা উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনি হবে। বিজয় দিবসের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

এছাড়া ভার্চুয়ালি ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভা হবে।

বিজনেস আওয়ার/২২ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: