ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপারব্র্যান্ড-২০২০ জিতেছে রানার অটোমোবাইলস

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
  • 59

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আন্তর্জাতিক সুপারব্র্যান্ড পুরস্কার জিতে নিয়েছে দেশীয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রানার। গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক জমকালো ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২০-২১ বর্ষের বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ডস সমূহের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। মোটরসাইকেল বিভাগে প্রথমবারের মত কোন বাংলাদেশি মোটরসাইকেল কোম্পানিকে এই স্বীকৃতি দেয়া হল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এমপি।

রানার গ্রুপের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে এক ভিডিও বার্তায় রানার গ্রুপের ডিরেক্টর আমিদ সাকিফ খান সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সুপার ব্র্যান্ডস একটি অণ্যতম সফল গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম। সুপার ব্র্যান্ডস এর স্বীকৃতি ভবিষ্যতে রানারকে আরো ইনোভেটিভ হতে উৎসাহিত করবে যার ফলে রানার আন্তর্জাতিক বাজারে আরো আধিপত্য বিচরণ করবে।

রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সি.ই.ও রিয়াজুল চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো মোটরসাইকেল ব্রান্ডের সুপারব্র্যান্ডেস স্বৃকৃতি শুধু রানার-এর নয়, বাংলাদেশের অর্জন। আমরা এই পুরষ্কারটি আমাদের সমস্ত গ্রাহক, ডিলার, সরবরাহকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কাছে উৎসর্গ করতে চাই যারা একটি মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডকে আন্তর্জাতিক ব্রান্ডে রূপান্তর করেছে।

সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বের সর্বত্র প্রযোজ্য ব্র্যান্ডের বিচারক সংস্থা যা বিশ্বের প্রায় ৯০ টি দেশে কাজ করে ২৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে। সুপারব্র্যান্ডস দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের জন্য বৃহত্তম সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সকল ধরনের গ্রাহকদের চাহিদা পূরনে রানারের ৮০সিসি থেকে ১৬০সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল রয়েছে, যার মধ্যে৮০সিসি মোটরসাইকেলের বাজারে রানারই মার্কেট লিডার।

মোটরসাইকেলের বাজারে তারা প্রথম কিস্তিতে মোটরসাইকেল ক্রয়ের সুযোগ করে দেয় এবং খুবই সাশ্রয়ী মূল্যে ইএমআই স্কিমের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাইডারদের তাদের স্বপ্নের বাইক কিনতে সক্ষম করেছে।

কিস্তিতে মোটরসাইকেল ক্রয়ের সুযোগ করে দেয়া ছাড়াও ২০০টিরও বেশি সার্ভিস কেন্দ্রের মাধ্যমে রানার মোটরসাইকেলের রয়েছে দেশব্যাপী এক অসাধারণ বিক্রয়-পরবর্তী পরিষেবা নেটওয়ার্ক। নতুন বাইক চালকদের জন্য রানার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে এবং বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ৫০০ সিসি মোটর সাইকেল প্রস্তুতকারক হিসেবে রানার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত একমাত্র ব্র্যান্ড, যারা সাফল্যের সাথে “হক ২০০” নামের ২০০সিসি মোটরসাইকেল উৎপাদন ও রপ্তানি করেছে।

সেরা পরিচালনা অনুশীলন, পরিবেশ এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার স্বীকৃতি হিসেবে রানার আইএসও কর্তৃক কিউএমসস (৯০০১:২০১৫), ইএমএস (১৪০০১:২০১৫) এবং ওএইচএসএএস (১৮০০১:২০০৭) সার্টিফিকেট অর্জন করেছে।

নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি একযোগে আমেরিকান ব্র্যান্ড ইউএম উৎপাদন করছে, একই সাথে তারা ইতালিয় ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড ভেস্পা ও এপ্রিলিয়া এর গর্বিত পরিবেশক। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কেটিএম (একটি ইউরোপিয়ান ফ্লাগশিপ) নামের আরও একটি ব্র্যান্ড খুব শিগ্রী বাজারে আনছে ।

উদ্ভাবন এবং সর্বশেষ অটোমোবাইল প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য তাদের রয়েছে উন্নত আরএন্ডডি টিম। দক্ষ উৎপাদনকারী, রফতানীকারি এবং বিশাল রিটেইল নেটওয়ার্ক (বিক্রয় এবং পরিষেবা) পরিচালনার মধ্যদিয়ে রানার প্রত্যেক শ্রেণীর গ্রাহকদের জন্য সকল ধরনের মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে।

স্থানীয় উপাদান সংগ্রহের মাধ্যমে অনেক স্থানীয় উদ্যোক্তাকে রানার তাদের সাথে জীবন পরিবর্তনের আগ্রযাত্রার অংশ হতে সক্ষম করেছে।

বিজনেস আওয়ার/২৪ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সুপারব্র্যান্ড-২০২০ জিতেছে রানার অটোমোবাইলস

পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আন্তর্জাতিক সুপারব্র্যান্ড পুরস্কার জিতে নিয়েছে দেশীয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রানার। গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় এক জমকালো ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২০-২১ বর্ষের বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ডস সমূহের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। মোটরসাইকেল বিভাগে প্রথমবারের মত কোন বাংলাদেশি মোটরসাইকেল কোম্পানিকে এই স্বীকৃতি দেয়া হল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এমপি।

রানার গ্রুপের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে এক ভিডিও বার্তায় রানার গ্রুপের ডিরেক্টর আমিদ সাকিফ খান সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সুপার ব্র্যান্ডস একটি অণ্যতম সফল গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম। সুপার ব্র্যান্ডস এর স্বীকৃতি ভবিষ্যতে রানারকে আরো ইনোভেটিভ হতে উৎসাহিত করবে যার ফলে রানার আন্তর্জাতিক বাজারে আরো আধিপত্য বিচরণ করবে।

রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সি.ই.ও রিয়াজুল চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো মোটরসাইকেল ব্রান্ডের সুপারব্র্যান্ডেস স্বৃকৃতি শুধু রানার-এর নয়, বাংলাদেশের অর্জন। আমরা এই পুরষ্কারটি আমাদের সমস্ত গ্রাহক, ডিলার, সরবরাহকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কাছে উৎসর্গ করতে চাই যারা একটি মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডকে আন্তর্জাতিক ব্রান্ডে রূপান্তর করেছে।

সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বের সর্বত্র প্রযোজ্য ব্র্যান্ডের বিচারক সংস্থা যা বিশ্বের প্রায় ৯০ টি দেশে কাজ করে ২৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে। সুপারব্র্যান্ডস দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের জন্য বৃহত্তম সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সকল ধরনের গ্রাহকদের চাহিদা পূরনে রানারের ৮০সিসি থেকে ১৬০সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল রয়েছে, যার মধ্যে৮০সিসি মোটরসাইকেলের বাজারে রানারই মার্কেট লিডার।

মোটরসাইকেলের বাজারে তারা প্রথম কিস্তিতে মোটরসাইকেল ক্রয়ের সুযোগ করে দেয় এবং খুবই সাশ্রয়ী মূল্যে ইএমআই স্কিমের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাইডারদের তাদের স্বপ্নের বাইক কিনতে সক্ষম করেছে।

কিস্তিতে মোটরসাইকেল ক্রয়ের সুযোগ করে দেয়া ছাড়াও ২০০টিরও বেশি সার্ভিস কেন্দ্রের মাধ্যমে রানার মোটরসাইকেলের রয়েছে দেশব্যাপী এক অসাধারণ বিক্রয়-পরবর্তী পরিষেবা নেটওয়ার্ক। নতুন বাইক চালকদের জন্য রানার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে এবং বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ৫০০ সিসি মোটর সাইকেল প্রস্তুতকারক হিসেবে রানার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত একমাত্র ব্র্যান্ড, যারা সাফল্যের সাথে “হক ২০০” নামের ২০০সিসি মোটরসাইকেল উৎপাদন ও রপ্তানি করেছে।

সেরা পরিচালনা অনুশীলন, পরিবেশ এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার স্বীকৃতি হিসেবে রানার আইএসও কর্তৃক কিউএমসস (৯০০১:২০১৫), ইএমএস (১৪০০১:২০১৫) এবং ওএইচএসএএস (১৮০০১:২০০৭) সার্টিফিকেট অর্জন করেছে।

নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি একযোগে আমেরিকান ব্র্যান্ড ইউএম উৎপাদন করছে, একই সাথে তারা ইতালিয় ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড ভেস্পা ও এপ্রিলিয়া এর গর্বিত পরিবেশক। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কেটিএম (একটি ইউরোপিয়ান ফ্লাগশিপ) নামের আরও একটি ব্র্যান্ড খুব শিগ্রী বাজারে আনছে ।

উদ্ভাবন এবং সর্বশেষ অটোমোবাইল প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য তাদের রয়েছে উন্নত আরএন্ডডি টিম। দক্ষ উৎপাদনকারী, রফতানীকারি এবং বিশাল রিটেইল নেটওয়ার্ক (বিক্রয় এবং পরিষেবা) পরিচালনার মধ্যদিয়ে রানার প্রত্যেক শ্রেণীর গ্রাহকদের জন্য সকল ধরনের মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে।

স্থানীয় উপাদান সংগ্রহের মাধ্যমে অনেক স্থানীয় উদ্যোক্তাকে রানার তাদের সাথে জীবন পরিবর্তনের আগ্রযাত্রার অংশ হতে সক্ষম করেছে।

বিজনেস আওয়ার/২৪ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: