ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাল-চিনি-তেলের দাম বেড়েছে, কমেছে পেঁয়াজ-রসুন-ডিম

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০
  • 56

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সপ্তাহ ব্যবধানে নয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। বিপরীতে নয়টি পণ্যের দাম কমেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহজাহানপুর, মালিবাগ, বাদামতলী, সূত্রাপুর, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত, মৌলভীবাজার, মহাখালী, উত্তরা আজমপুর, রহমতগঞ্জর, রামপুরা ও মিরপুর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

তথ্য অনুযায়ী, পাইজাম ও লতা বা মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর মাধ্যমে পাইজাম ও লতা চালের দাম বেড়ে ৫০ থেকে ৫৪ টাকা টাকা হয়েছে। চিনির দাম ১ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলুর দাম সরকার দুই দফায় বেঁধে দিলেও কাজে আসছে না। দাম কমার বদলে গত এক সপ্তাহে উল্টো আলুর দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি আলু ৪৪ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বলে জানিয়েছে টিসিবি।

চাল, চিনির বাড়তি দামের সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের সয়াবিন তেলের দাম। লুজ সয়াবিন তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ১০২ থেকে ১০৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২৫ টাকা। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে দশমিক ৯৯ শতাংশ।

লুজ পাম অয়েলের দাম ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে ৯১ থেকে ৯১ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। আর সুপার পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৯৪ থেকে ৯৬ টাকা। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।

দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে লবঙ্গও। সপ্তাহের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

খোলা আটার দাম ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। খোলা আটার পাশাপাশি খোলা ময়দার দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা।

তবে প্যাকেট আটার দাম গত এক সপ্তাহে কমেছে। প্যাকেট আটার দাম ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি দাম কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম কমে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

আমদানি করা রসুনের দাম ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা হয়েছে। এলাচের দাম ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ৩২০০ টাকা।

টিসিবি জানিয়েছে, দাম কমার তালিকায় রয়েছে সরু চাল। সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৭১ শতাংশ কমে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমার এ তালিকায় থাকা মাঝারি দানার মসুর ডালের দাম ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা হয়েছে। ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে প্রতি কেজি মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দরে।

ফার্মের ডিমের দাম ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৩ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির দাম ১ দশমিক ২১ শতাংশ কমে কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চাল-চিনি-তেলের দাম বেড়েছে, কমেছে পেঁয়াজ-রসুন-ডিম

পোস্ট হয়েছে : ১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সপ্তাহ ব্যবধানে নয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। বিপরীতে নয়টি পণ্যের দাম কমেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহজাহানপুর, মালিবাগ, বাদামতলী, সূত্রাপুর, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত, মৌলভীবাজার, মহাখালী, উত্তরা আজমপুর, রহমতগঞ্জর, রামপুরা ও মিরপুর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

তথ্য অনুযায়ী, পাইজাম ও লতা বা মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর মাধ্যমে পাইজাম ও লতা চালের দাম বেড়ে ৫০ থেকে ৫৪ টাকা টাকা হয়েছে। চিনির দাম ১ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলুর দাম সরকার দুই দফায় বেঁধে দিলেও কাজে আসছে না। দাম কমার বদলে গত এক সপ্তাহে উল্টো আলুর দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি আলু ৪৪ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বলে জানিয়েছে টিসিবি।

চাল, চিনির বাড়তি দামের সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের সয়াবিন তেলের দাম। লুজ সয়াবিন তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ১০২ থেকে ১০৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২৫ টাকা। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে দশমিক ৯৯ শতাংশ।

লুজ পাম অয়েলের দাম ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে ৯১ থেকে ৯১ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। আর সুপার পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৯৪ থেকে ৯৬ টাকা। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।

দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে লবঙ্গও। সপ্তাহের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

খোলা আটার দাম ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। খোলা আটার পাশাপাশি খোলা ময়দার দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা।

তবে প্যাকেট আটার দাম গত এক সপ্তাহে কমেছে। প্যাকেট আটার দাম ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহে সব থেকে বেশি দাম কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম কমে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

আমদানি করা রসুনের দাম ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা হয়েছে। এলাচের দাম ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ৩২০০ টাকা।

টিসিবি জানিয়েছে, দাম কমার তালিকায় রয়েছে সরু চাল। সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৭১ শতাংশ কমে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমার এ তালিকায় থাকা মাঝারি দানার মসুর ডালের দাম ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা হয়েছে। ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে প্রতি কেজি মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দরে।

ফার্মের ডিমের দাম ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৩ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির দাম ১ দশমিক ২১ শতাংশ কমে কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/২৮ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: