বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে শীতকাল। তবে এই ঋতু ব্যক্তি জীবনে নানা সমস্যারও কারণ। বিশেষ করে ত্বক এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় এই সময়। ত্বকের শুষ্কতা, চুল পড়া, খুশকি নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে যায় সবার। তাই এই সময়টাতে চুলের একটু বেশি যত্ন নিতে হবে।
পাঠক চলুন জেনে নিন শীতে চুল পড়া বন্ধে কী করবেন:
নিয়মিত শ্যাম্পু করুন
শীতে শ্যাম্পু করার আগে চুলগুলো হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন। এরপর হাতের তালুতে একটু শ্যাম্পু নিয়ে তার চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিন। এবার শ্যাম্পুর মিশ্রণটা আলতো করে মাথার তালুতে লাগান। অনেকেই মাথার ত্বক আঙুল দিয়ে জোরে জোরে ঘষে পরিষ্কার করে থাকেন। এতে চুল পড়া যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
তেল দিয়ে শ্যাম্পু করার সময় অনেকের চুল থেকেই তৈলাক্ত ভাবটা দূর হতে চায় না। এ সময় চুলে শ্যাম্পু লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিলেই দূর হবে চুলের তৈলাক্ত ভাব। চুল ধোয়ার পর আলতো করে তোয়ালেতে মুছে নিন চুল।
নিয়মিত তেল ম্যাসাজ
শুষ্ক মৌসুমের বাতাস থেকে আপনার চুল ও মাথার ত্বককে বাঁচাতে হট অয়েল ম্যাসাজের কোনো জুড়ি নেই। চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এবং চুলকে মজবুত করে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুলের গোড়ায় তেল গরম করে মালিশ করুন।
স্টিম নেয়া
গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। গরম ভাপ চুলের হারিয়ে যাওয়া পুষ্টি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
নিমপাতা
শীতকালে নিমপাতার ব্যবহার আপনার চুল পড়া কমিয়ে আনবে অনেকখানি। কোনো মিশ্রণ ছাড়া শুধু নিমপাতাই ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন, পানি ফুটতে ফুটতে কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনুন। এবার নিমপাতা ছেঁকে ফেলে পানিটুকু ঠান্ডা করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার এটি ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে।
অ্যালোভেরার সঙ্গে নিম
অ্যালোভেরার রস নিয়ে তার সঙ্গে নিমপাতার পেস্ট মিশিয়ে নিন, চাইলে এতে কিছুটা আমলকীর তেলও দিতে পারেন। এটি পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি আপনার চুলকে করবে ঝরঝরে এবং উজ্জ্বল।
ডিম
একটা পাত্রে ডিম ভেঙ্গে তাতে মধু মিশিয়ে নিন। প্যাকটি গোসলের আগে কিছুক্ষণ চুলে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বিজনেস আওয়ার/২৮ নভেম্বর, ২০২০/এ