ঢাকা , সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেল্টা হসপিটাল ফাইল প্রত্যাহার করতে চায়

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০
  • 16

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের ফাইল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সম্প্রতি সর্বনিম্ন কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হওয়া ডেল্টা হসপিটাল কর্তৃপক্ষ।

ইস্যু ম্যানেজার প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, কাট-অফ প্রাইস নিয়ে ডেল্টা হসপিটাল কর্তৃপক্ষ খুবই হতাশ। তারা ১১ টাকায় শেয়ারবাজারে আসতে চায় না। এটা কোনভাবেই যৌক্তিক প্রাইস হয়নি। তাই ফাইল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফাইল বাতিল করা বা না করার ক্ষমতা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো: সাইফুর রহমান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, ডেল্টা হসপিটালের পরিচালনা পর্ষদ সভায় ফাইল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা তারা নিতে পারে। তারা কাঙ্খিত মাত্রায় দর না পাওয়ায় হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের কাছে চিঠি দিয়েছে। এখন দেখা যাক কমিশন কি সিদ্ধান্ত নেয়।

ডেল্টা হসপিটাল বিডিং শেষে ফাইল প্রত্যাহার করতে চাইলেও বিডারদের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। কারন বিডারদেরকে বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার আগেই তাদের অর্থ জমা দিতে হয়েছে। যার বয়স প্রায় আড়াই মাস। এখন ফাইল প্রত্যাহারে বিডারদের অর্থের এই আড়াই মাসের স্বার্থ কে রক্ষা করবে। তারা নিলামে অংশ না নিলে ওই অর্থ অন্যথায় ব্যবহার করতে পারত।

এর আগে ২২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিডিংয়ে ডেল্টা হসপিটালের কাট-অফ প্রাইস ১১ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। বিডিংয়ে ৮৮ জন বিডার দর প্রস্তাব করেন। এরমধ্যে ১৫ টাকা দরে সবচেয়ে বেশি ১৪ জন বিডার দর প্রস্তাব করেছেন। এরপরে ১৪ টাকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করেছেন ১১ জন বিডার।

বিডিংয়ে ৮৮ জন বিডার সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১১ টাকার মধ্যে দর প্রস্তাব করেছেন। তারা মোট ৩২ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯০০ টাকার দর প্রস্তাব করেছেন।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৮তম সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।

কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা দিয়ে যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করা হবে।

৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) দাঁড়িয়েছে ৪৫.৮৪ টাকায় এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতিত) দাঁড়িয়েছে ১৬.৬২ টাকায়। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.১০ টাকা।

কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং রেজিস্টার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।

বিজনেস আওয়ার/০৩ জুন, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ডেল্টা হসপিটাল ফাইল প্রত্যাহার করতে চায়

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের ফাইল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সম্প্রতি সর্বনিম্ন কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হওয়া ডেল্টা হসপিটাল কর্তৃপক্ষ।

ইস্যু ম্যানেজার প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, কাট-অফ প্রাইস নিয়ে ডেল্টা হসপিটাল কর্তৃপক্ষ খুবই হতাশ। তারা ১১ টাকায় শেয়ারবাজারে আসতে চায় না। এটা কোনভাবেই যৌক্তিক প্রাইস হয়নি। তাই ফাইল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফাইল বাতিল করা বা না করার ক্ষমতা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো: সাইফুর রহমান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, ডেল্টা হসপিটালের পরিচালনা পর্ষদ সভায় ফাইল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা তারা নিতে পারে। তারা কাঙ্খিত মাত্রায় দর না পাওয়ায় হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের কাছে চিঠি দিয়েছে। এখন দেখা যাক কমিশন কি সিদ্ধান্ত নেয়।

ডেল্টা হসপিটাল বিডিং শেষে ফাইল প্রত্যাহার করতে চাইলেও বিডারদের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। কারন বিডারদেরকে বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার আগেই তাদের অর্থ জমা দিতে হয়েছে। যার বয়স প্রায় আড়াই মাস। এখন ফাইল প্রত্যাহারে বিডারদের অর্থের এই আড়াই মাসের স্বার্থ কে রক্ষা করবে। তারা নিলামে অংশ না নিলে ওই অর্থ অন্যথায় ব্যবহার করতে পারত।

এর আগে ২২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিডিংয়ে ডেল্টা হসপিটালের কাট-অফ প্রাইস ১১ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। বিডিংয়ে ৮৮ জন বিডার দর প্রস্তাব করেন। এরমধ্যে ১৫ টাকা দরে সবচেয়ে বেশি ১৪ জন বিডার দর প্রস্তাব করেছেন। এরপরে ১৪ টাকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করেছেন ১১ জন বিডার।

বিডিংয়ে ৮৮ জন বিডার সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১১ টাকার মধ্যে দর প্রস্তাব করেছেন। তারা মোট ৩২ কোটি ৩৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯০০ টাকার দর প্রস্তাব করেছেন।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৮তম সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।

কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যা দিয়ে যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করা হবে।

৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) দাঁড়িয়েছে ৪৫.৮৪ টাকায় এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতিত) দাঁড়িয়েছে ১৬.৬২ টাকায়। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.১০ টাকা।

কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং রেজিস্টার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।

বিজনেস আওয়ার/০৩ জুন, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: