ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আজ ৬ ডিসেম্বর, স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরশাসক এরশাদের নয় বছরের দেশ শাসনের অবসান ঘটে। দেশের গণতন্ত্রকামী জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়াতে বাধ্য হন। তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

তবে জাতীয় পার্টি দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসবে পালন করে। দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে থাকে। এ আন্দোলনে প্রাণ হারান নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, তাজুল, ডা.মিলন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহ সহ অনেকে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে। আওয়ামী লীগ দিবসটি গণতন্ত্র মুক্তি দিবস ও স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে পালন করে। বিএনপি গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে। তবে জাতীয় পার্টি প্রতিবছর সারাদেশে এই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর এরশাদ সরকার দেশের রাজনীতি থেকে শুরু করে সংস্কৃতি, সবক্ষেত্রে গণবিরোধী ধারা প্রবর্তন করে। রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর হরতালের সময় নূর হোসেনকে স্বৈরাচার সরকারের বাহিনী গুলি করে।

যার বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা ছিল। ওইদিন সেনা ও পুলিশবাহিনী আমিনুল হুদা টিটোকে মেরে গুম করে। এ ঘটনায় সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এরশাদ সরকারে হটানোর আন্দোলনে নেমে পড়ে।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের সূচনা হয়। ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রত্যয় ঘোষণা করে। এভাবে ঘটনাক্রমিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণতন্ত্রবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে এবং দেশের উন্নয়ন ও জণগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নব্বই পরবর্তী তিন দশকে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব পেয়ে তাঁর সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ

পোস্ট হয়েছে : ১০:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আজ ৬ ডিসেম্বর, স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরশাসক এরশাদের নয় বছরের দেশ শাসনের অবসান ঘটে। দেশের গণতন্ত্রকামী জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়াতে বাধ্য হন। তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

তবে জাতীয় পার্টি দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসবে পালন করে। দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে থাকে। এ আন্দোলনে প্রাণ হারান নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, তাজুল, ডা.মিলন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহ সহ অনেকে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে। আওয়ামী লীগ দিবসটি গণতন্ত্র মুক্তি দিবস ও স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে পালন করে। বিএনপি গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে। তবে জাতীয় পার্টি প্রতিবছর সারাদেশে এই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর এরশাদ সরকার দেশের রাজনীতি থেকে শুরু করে সংস্কৃতি, সবক্ষেত্রে গণবিরোধী ধারা প্রবর্তন করে। রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর হরতালের সময় নূর হোসেনকে স্বৈরাচার সরকারের বাহিনী গুলি করে।

যার বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা ছিল। ওইদিন সেনা ও পুলিশবাহিনী আমিনুল হুদা টিটোকে মেরে গুম করে। এ ঘটনায় সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এরশাদ সরকারে হটানোর আন্দোলনে নেমে পড়ে।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের সূচনা হয়। ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রত্যয় ঘোষণা করে। এভাবে ঘটনাক্রমিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণতন্ত্রবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে এবং দেশের উন্নয়ন ও জণগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নব্বই পরবর্তী তিন দশকে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব পেয়ে তাঁর সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/০৬ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: