ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়মিত অবচয়জনিত ব্যয় কম দেখাচ্ছে ন্যাশনাল টি

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • 51

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অবচয়জনিত ব্যয় কম দেখিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে মুনাফা বেশি দেখানো হচ্ছে। কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

আর্থিক হিসাবে স্থায়ী সম্পদের মধ্যে ‘বিয়ারার প্লান্টস’ হিসাবে ১৮৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৬ টাকা দেখানো হয়েছে। যে সম্পদের নির্দিষ্ট আয়ুস্কাল রয়েছে। ফলে হিসাব মান অনুযায়ি অবশ্যই ওই সম্পদ অবচয়যোগ্য। কিন্তু কো্ম্পানি কর্তৃপক্ষ কোন অবচয় চার্জ করে না। এরমাধ্যমে নিয়মিত সম্পদ ও মুনাফা বেশি দেখানো হচ্ছে। যদিও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে লাম্প সাম হিসাবে ২ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ২৫০ টাকার অবচয়জনিত সঞ্চিতি গঠন করেছে।

তবে কোম্পানির এই সম্পদের উপর অবচয় নিয়ে কোন পলিসি না থাকায়, নিরীক্ষক পূঞ্জীভূত অবচয় ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের অবচয় নির্ণয় করতে পারেনি। এছাড়া কোম্পানির লাম্প সাম অবচয়জনিত সঞ্চিতি গঠনের কোন ভিত্তিও খুজে পায়নি।

ন্যাশনাল টি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ি, আগের বছরগুলোতে ওয়ার্কার্স প্রফিট অ্যান্ড পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করেনি।

নিয়মিত ভালো ব্যবসা করা ন্যাশনাল টির ২০১৯-২০ অর্থবছরে বড় লোকসান হয়েছে। কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৫.৭১ টাকা। করোনায় এমন লোকসান করলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০) মুনাফায় ফিরেছে। ওইসময় শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.১১ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/০৭ ডিসেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নিয়মিত অবচয়জনিত ব্যয় কম দেখাচ্ছে ন্যাশনাল টি

পোস্ট হয়েছে : ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অবচয়জনিত ব্যয় কম দেখিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে মুনাফা বেশি দেখানো হচ্ছে। কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

আর্থিক হিসাবে স্থায়ী সম্পদের মধ্যে ‘বিয়ারার প্লান্টস’ হিসাবে ১৮৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৬ টাকা দেখানো হয়েছে। যে সম্পদের নির্দিষ্ট আয়ুস্কাল রয়েছে। ফলে হিসাব মান অনুযায়ি অবশ্যই ওই সম্পদ অবচয়যোগ্য। কিন্তু কো্ম্পানি কর্তৃপক্ষ কোন অবচয় চার্জ করে না। এরমাধ্যমে নিয়মিত সম্পদ ও মুনাফা বেশি দেখানো হচ্ছে। যদিও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে লাম্প সাম হিসাবে ২ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ২৫০ টাকার অবচয়জনিত সঞ্চিতি গঠন করেছে।

তবে কোম্পানির এই সম্পদের উপর অবচয় নিয়ে কোন পলিসি না থাকায়, নিরীক্ষক পূঞ্জীভূত অবচয় ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের অবচয় নির্ণয় করতে পারেনি। এছাড়া কোম্পানির লাম্প সাম অবচয়জনিত সঞ্চিতি গঠনের কোন ভিত্তিও খুজে পায়নি।

ন্যাশনাল টি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ি, আগের বছরগুলোতে ওয়ার্কার্স প্রফিট অ্যান্ড পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করেনি।

নিয়মিত ভালো ব্যবসা করা ন্যাশনাল টির ২০১৯-২০ অর্থবছরে বড় লোকসান হয়েছে। কোম্পানিটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৫.৭১ টাকা। করোনায় এমন লোকসান করলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০) মুনাফায় ফিরেছে। ওইসময় শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.১১ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/০৭ ডিসেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: