ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের বাজারে আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • 63

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে দাম কমার প্রেক্ষিতে গত ১ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা কার্যকর হয় গত ২ ডিসেম্বর থেকে। তবে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। ইতোমধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় একশ ডলার বেড়েছে। এ কারণে দেশের বাজারে আবারও দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বাজুস’র তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষ দিকে এসে পতনের মধ্যে পড়ে স্বর্ণের দাম। এতে ২৫ নভেম্বর থেকে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫০৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৭৩ হাজার ৮৩৩ টাকা। ২১ ক্যারেট ৭০ হাজার ৬৮৪, ১৮ ক্যারেট ৬১ হাজার ৯৩৬ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পরও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দফায় দফায় দাম কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম সাড়ে ১৭শ ডলারের কাছাকাছি চলে আসে। ফলে দেশের বাজারে আরও এক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস। ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর থেকে স্বর্ণের দাম কমানো হয়।

এ দফায় ভরিপ্রতি ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৫১৭, ১৮ ক্যারেট ৬০ হাজার ৭৬৯ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অবশ্য দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার দিনই (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববাজারে আবার বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। দাম বাড়ার প্রবণতা চলে গত সপ্তাজুড়ে। এতে গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮৩৭ দশমিক ৯৫ ডলারে ওঠে।

স্বর্ণের এই দাম বাড়ার প্রবণতা চলতি সপ্তাহেও দেখা যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২৬ ডলার বেড়ে ১৮৬৪ ডলারে ওঠে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে ১৮৬৬ ডলারে উঠেছে। বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস।

এ প্রসঙ্গে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমরা সব সময় বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রাখার চেষ্টা করি। এ কারণে এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম দুবার কমানো হয়। এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের যে দাম বাড়ার প্রবণতা রয়েছে, তাতে যে কোনো সময় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে।

বিজনেস আওয়ার/০৯ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দেশের বাজারে আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে দাম কমার প্রেক্ষিতে গত ১ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা কার্যকর হয় গত ২ ডিসেম্বর থেকে। তবে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। ইতোমধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় একশ ডলার বেড়েছে। এ কারণে দেশের বাজারে আবারও দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বাজুস’র তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষ দিকে এসে পতনের মধ্যে পড়ে স্বর্ণের দাম। এতে ২৫ নভেম্বর থেকে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫০৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৭৩ হাজার ৮৩৩ টাকা। ২১ ক্যারেট ৭০ হাজার ৬৮৪, ১৮ ক্যারেট ৬১ হাজার ৯৩৬ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পরও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দফায় দফায় দাম কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম সাড়ে ১৭শ ডলারের কাছাকাছি চলে আসে। ফলে দেশের বাজারে আরও এক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস। ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর থেকে স্বর্ণের দাম কমানো হয়।

এ দফায় ভরিপ্রতি ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৫১৭, ১৮ ক্যারেট ৬০ হাজার ৭৬৯ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অবশ্য দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার দিনই (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববাজারে আবার বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। দাম বাড়ার প্রবণতা চলে গত সপ্তাজুড়ে। এতে গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮৩৭ দশমিক ৯৫ ডলারে ওঠে।

স্বর্ণের এই দাম বাড়ার প্রবণতা চলতি সপ্তাহেও দেখা যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২৬ ডলার বেড়ে ১৮৬৪ ডলারে ওঠে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে ১৮৬৬ ডলারে উঠেছে। বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস।

এ প্রসঙ্গে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমরা সব সময় বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রাখার চেষ্টা করি। এ কারণে এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম দুবার কমানো হয়। এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের যে দাম বাড়ার প্রবণতা রয়েছে, তাতে যে কোনো সময় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে।

বিজনেস আওয়ার/০৯ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: