ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সার্বভৌমত্বে আঘাত আসলে প্রতিঘাতের প্রস্তুতি রাখতে হবে’

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • 48

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। সকলের সাথে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবো। কিন্তু কেউ যদি আমার সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে, প্রতিঘাত করবার মতো সক্ষমতা যেন অর্জন করতে পারি সেভাবেই আমাদের প্রশিক্ষণ এবং সেভাবেই প্রস্তুতি থাকতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২০ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২০ এর গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মিরপুর সেনানিবাস শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স ডিএসসিএসসি প্রান্তে যুক্ত হন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সনদপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান ও সনদ তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। কাজেই এ বাহিনীর প্রত্যেকটি সদস্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের গড়ে তুলবেন। যেন সবসময় জনগণের পাশে থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি খুব স্পষ্ট, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। আমরা সেটাই মেনে চলছি।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের নাগরিক, প্রায় ১০ লাখের ওপরে। আমরা তাদের সাথে কখনো সংঘাতে যাইনি কিন্তু আলোচনা করে এটার সমাধান করার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সকলকে এ আহ্বান জানিয়েছি যে এই যে বিশাল একটা বোঝা আমাদের ওপর। এটা যেন খুব দ্রুত তারা সমাধান করেন।

দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায়। বিশেষ করে এবার কোভিড-১৯ এর সময় ব্যাপকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিয়েছেন। আগামীতে তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে তখনও জনগণের পাশে দাঁড়াবেন।

গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের অর্জিত জ্ঞান ইচ্ছা শক্তি ও অঙ্গীকার সামনে রেখে আমাদের দেশ প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল টেকসই উন্নয়ন আত্মনির্ভরশীলতা সর্বোপরি গৌরবময় অবস্থানের দিকে নিয়ে যাবে। কারণ আমরা এ বিজয়ের মাসে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন কখনো ব্যর্থ না হয় এই স্বাধীনতা যেন দেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের কাছে আমরা যেন সারাজীবন মাথা উচু করে বিজয়ী জাতি হিসেবে চলতে পারি। আপনারা যেখানেই যাবেন বিজয়ী জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদাবোধ আত্মসন্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে চলবেন।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্কুল খুলতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে সবকিছু চললেও একটা জায়গায় আমাদের একটু দুশ্চিন্তা সেটা হচ্ছে শিশুদের স্কুল। কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা শিশুদের স্কুলগুলি খুলতে পারছি না। অনলাইনে শিক্ষা ব্যবস্থা বা টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস গুলি করার ব্যবস্থা করেছি।

তারপরেও বাচ্চারা যদি স্কুলে যেতে না পারে এটা তাদের ওপর একটা মনস্তাত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। তা আমরা আশা করি হয়তো সামনে সেই সুদিনটা আসবে আমাদের ছেলে মেয়েরা আবার স্কুলে যেতে পারবে পড়াশোনা শুরু করতে পারবে স্বাভাবিকভাবে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।

বিজনেস আওয়ার/১৩ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘সার্বভৌমত্বে আঘাত আসলে প্রতিঘাতের প্রস্তুতি রাখতে হবে’

পোস্ট হয়েছে : ০১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। সকলের সাথে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখবো। কিন্তু কেউ যদি আমার সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে, প্রতিঘাত করবার মতো সক্ষমতা যেন অর্জন করতে পারি সেভাবেই আমাদের প্রশিক্ষণ এবং সেভাবেই প্রস্তুতি থাকতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২০ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২০ এর গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মিরপুর সেনানিবাস শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স ডিএসসিএসসি প্রান্তে যুক্ত হন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সনদপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান ও সনদ তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। কাজেই এ বাহিনীর প্রত্যেকটি সদস্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের গড়ে তুলবেন। যেন সবসময় জনগণের পাশে থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি খুব স্পষ্ট, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়। আমরা সেটাই মেনে চলছি।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের নাগরিক, প্রায় ১০ লাখের ওপরে। আমরা তাদের সাথে কখনো সংঘাতে যাইনি কিন্তু আলোচনা করে এটার সমাধান করার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সকলকে এ আহ্বান জানিয়েছি যে এই যে বিশাল একটা বোঝা আমাদের ওপর। এটা যেন খুব দ্রুত তারা সমাধান করেন।

দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায়। বিশেষ করে এবার কোভিড-১৯ এর সময় ব্যাপকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিয়েছেন। আগামীতে তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে তখনও জনগণের পাশে দাঁড়াবেন।

গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের অর্জিত জ্ঞান ইচ্ছা শক্তি ও অঙ্গীকার সামনে রেখে আমাদের দেশ প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল টেকসই উন্নয়ন আত্মনির্ভরশীলতা সর্বোপরি গৌরবময় অবস্থানের দিকে নিয়ে যাবে। কারণ আমরা এ বিজয়ের মাসে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন কখনো ব্যর্থ না হয় এই স্বাধীনতা যেন দেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের কাছে আমরা যেন সারাজীবন মাথা উচু করে বিজয়ী জাতি হিসেবে চলতে পারি। আপনারা যেখানেই যাবেন বিজয়ী জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদাবোধ আত্মসন্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে চলবেন।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্কুল খুলতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে সবকিছু চললেও একটা জায়গায় আমাদের একটু দুশ্চিন্তা সেটা হচ্ছে শিশুদের স্কুল। কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা শিশুদের স্কুলগুলি খুলতে পারছি না। অনলাইনে শিক্ষা ব্যবস্থা বা টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস গুলি করার ব্যবস্থা করেছি।

তারপরেও বাচ্চারা যদি স্কুলে যেতে না পারে এটা তাদের ওপর একটা মনস্তাত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। তা আমরা আশা করি হয়তো সামনে সেই সুদিনটা আসবে আমাদের ছেলে মেয়েরা আবার স্কুলে যেতে পারবে পড়াশোনা শুরু করতে পারবে স্বাভাবিকভাবে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।

বিজনেস আওয়ার/১৩ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: