স্পোর্টস ডেস্ক : সোমবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে এলিমেনটরি ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে জেমকন খুলনার সংগ্রহ গিয়ে পৌঁছায় ২১০ রানে। যে কোন দলের জন্যই এত বেশি রান তাড়া করে জেতা অনেক বেশি কঠিন একটি কাজ। তবে টুর্নামেন্টে এরই মধ্যে ২২০ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার উদাহরণ থাকায়, মনের মধ্যে আশা ও সাহস দুই’ই ছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের।
কিন্তু তাদেরকে সেই মিশনে সফল হতে দেননি টাইগারদের সর্বকালের সের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। একাই শেষ করে দিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনআপকে। করেছেন ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি বোলিংয়ের প্রদর্শনী। তিন স্পেলে এই ৪ ওভার করেছেন মাশরাফি। নিজের ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েছেন দেশের অভিজ্ঞতম এ পেসার।
নতুন বলে প্রথম দুই ওভারের স্পেলে সাজঘরে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের দুই ইনফর্ম ওপেনার সৌম্য সরকার (১ বলে ০) ও লিটন দাসকে (১৩ বলে ২৪)। তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে ফেলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়। দ্বাদশ ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই মাহমুদুল জয়কে সাজঘরে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাশরাফি।
এরপর আবার আক্রমণে আসেন ১৮তম ওভারে। প্রথম তিন বলে ৮ রান তুলে নেন শামসুর রহমান। চতুর্থ বলে তাকে আউট করেন মাশরাফি। সেই ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজুর রহমানকে সাকিব আল হাসানের হাত ক্যাচ বানিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফার পূরণ করেন মাশরাফি। স্বাভাবিকভাবেই টি-২০ ক্রিকেটে এটিই তার সেরা বোলিং ফিগার।
অথচ ফিটনেসজনিত কারণে প্রথমে টুর্নামেন্টে খেলারই কথা ছিল না তার, রাখা হয়নি প্লেয়ার্স ড্রাফটে। তবে পরের পরিস্থিতি মাথায় রেখে বিশেষ বিবেচনায় খেলানোর সুযোগটা রাখা হয়েছিল। সেটি কাজে লাগিয়ে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে লটারির মাধ্যমে জেমকন খুলনার হয়ে খেলার সুযোগ পান ম্যাশ। আর তৃতীয় ম্যাচেই জিতলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার, দলকে তুললেন টুর্নামেন্টের ফাইনালে।
ম্যাচ শেষে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে মাশরাফির কাছে জানতে চাওয়া হয় এমন পারফরম্যান্সের রহস্য কী? তার উত্তর, কোনো রহস্য নেই। শুধু একটাই কথা, ভালো জায়গায় বল করতে হবে। আর দ্বিতীয় কথা হলো, আমরা অনেক রান করেছিলাম। তাই একটা বাড়তি সুবিধা ছিল এবং প্রতিপক্ষের ওপরেও রান তাড়ার চাপটা ছিল। তাই ওদের বড় শটস খেলতে হতো। জানি কিছু রান লিক হতে পারে।
ম্যাশ বলেন, মূল কাজটা ছিল সঠিক জায়গায় বল করে যাওয়া। দিনশেষে ২১১-১২ রান অনেক বড়। এ সুবিধাটা আমাদের ছিল। তবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সঠিক জায়গায় বল করা। আমি সেটাই করেছি। এছাড়া এটায় (ক্যারিয়ার সেরা বোলিং) আর কোনো রহস্য নেই।
বিজনেস আওয়ার/১৫ ডিসেম্বর, ২০২০/এ