বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯১ রানে অলআউট করে ৫৩ রানের লিড পেয়েছিল ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পুরো দল মিলেও ৫৩ রান তো দূরের কথা মাত্র ৩৬ রানেই অলআউট হয়েছে পুরো দল। এর মাধ্যমে মাত্র ৯০ রানের লক্ষ্যে সহজ জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
অ্যাডিলেটে আজ (শনিবার) ৬২ রানে এগিয়ে থেকে ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। ওপেনার পৃথ্বী শ সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনেই, দিনশেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৯ রান। এর সঙ্গে আজ আর মাত্র ২২ রান যোগ করতেই পরের ৮ উইকেট হারায় ভারত, শেষপর্যন্ত ইনিংস থামে ৩৬ রানে।
ভারতকে অলআউট করতে দেড় ঘণ্টাও নেয়নি অস্ট্রেলিয়া। কামিনস ও হ্যাজলউডের নিখুঁত লাইন-লেন্থের সামনে কোনও জবাবই খুঁজে পাননি চেতেশ্বর পুজারা-বিরাট কোহলিরা। ফলে আগের ইনিংসের ৫৩ রানসহ মাত্র ৮৯ রানের লিড পায় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯০ রানের, মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে যেখানে জবাবই খুঁজে পায়নি ভারতের ব্যাটসম্যানরা, সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে খুব সাবলীলভাবেই খেলেছেন অসিদের দুই ওপেনার জো বার্নস ও ম্যাথু ওয়েড। ওয়ানডে ক্রিকেটের মেজাজে খেলে রান করতে থাকেন এ দুজন। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭০ রান, তাও মাত্র ১৭.২ ওভারে।
মনে হচ্ছিল কোনও উইকেট না হারিয়েই জিতে যাবে স্বাগতিকরা। কিন্তু ১৮তম ওভারে দুর্ভাগ্যজনক রানআউট হন ওয়েড। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে শট খেলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। উইকেটের পাশ থেকে না দেখেই থ্রো করে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন ঋদ্ধিমান সাহা। ফলে সমাপ্তি ঘটে ৫৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংসের।
দুই ওভার পর দলের জয়ের মাত্র ৮ রান বাকি থাকতে সাজঘরে ফিরে যান তিন নম্বরে নামা মার্নাস লাবুশেনও। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ৬ রান। তবে কোনও ভুল করেননি জো বার্নস। অপরাজিত ফিফটিতে ৬৩ বলে ৫১ রান করে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এ ডানহাতি ওপেনার। স্টিভেন স্মিথ অপরাজিত ছিলেন ১ রানে।
এর আগে হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতের শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শামি। ফলে কার্যত ১০ উইকেটের পতন ঘটেনি, তবে ৩৬ রানেই শেষ হয়েছে তাদের ইনিংস। যা কি না টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এবং চলতি দশকে এর চেয়ে কম রানে থামেনি আর কোনও দলের ইনিংস।
বিজনেস আওয়া/১৯ ডিসেম্বর, ২০২০/কমা