ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবচেয়ে কম ইপিএস নিয়ে লেনদেনের অপেক্ষায় রবি

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ৪ পয়সার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) নিয়ে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু করা মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার লেনদেন শুরু হবে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর)। যে কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরের (২০২০ সাল) জন্যই লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

মোবাইল অপারেটর ও বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে শুরু থেকেই রবি আজিয়াটা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরী হয়। তবে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক দূর্বলতা প্রকাশের পরে তাতে কিছুটা ভাটা পড়ে।

এরপরেও অনেকে মনে করছেন রবির শেয়ার দর অনেক দূর যাবে। অনেকে আবার গ্রামীণফোনের সঙ্গে তুলনাও করে ফেলছেন। তবে কেউ কেউ মনে করছেন আরেকটি রিং সাইন হবে।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার বা বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ৪ পয়সা। তবে এটা ২০২০ সালের ব্যবসায় কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করেছে রবি। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু। এর আগে রিং সাইনের আইপিওতে ১৫ কোটি শেয়ার ইস্যু সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল।

ডিসেম্বর ক্লোজিং রবি আজিয়াটাকে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরের (২০২০ সাল) জন্যই লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। এমনিতেই ব্যবসায়িক দূর্বল কোম্পানি, তারসঙ্গে আবার নতুন ৫২ কোটির বেশি শেয়ার বেড়েছে। যা লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে বাড়তি ভোগান্তি হয়ে দাড়াবে।

একটি কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরির জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে কমপক্ষে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা মুনাফা করা দরকার। অন্যথায় রিজার্ভ থেকে দিতে হবে। তবে রবি সেই অবস্থায় নেই।

রবির নতুন শেয়ারের মধ্যে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করা করা হয়েছে বিনিয়োগকারিদের জন্য। বাকি ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য।

এর আগে ২০১৮ সালে রবির ইপিএস হয়েছিল ৪৬ পয়সা। তবে ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা ও ২০১৬ সালে ১ টাকা ৮৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

বিএসইসি অনুমোদন দিলেও রবি প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে ইস্যুর যোগ্যতা এখনো অর্জন করতে পারেনি। লোকসান কাটিয়ে মুনাফা করতে লড়াই করে যাওয়া এ কোম্পানিটির শেয়ার দর মূল্যায়ন এখনো ঋণাত্মক।

আরও পড়ুন…….
গ্রামীণফোনের থেকে ২৬৬১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ নিয়েও ধুকছে রবি
জিপির অর্ধেকের বেশি টার্নওভার রবির, কিন্তু মুনাফা ১ শতাংশেরও কম
সবচেয়ে বড় মূলধনী ন্যাশনাল ব্যাংক আস্থার তলানিতে, আসছে আরও দূর্বল ব্যবসার রবি

বিজনেস আওয়ার/২৩ ডিসেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সবচেয়ে কম ইপিএস নিয়ে লেনদেনের অপেক্ষায় রবি

পোস্ট হয়েছে : ১০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ৪ পয়সার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) নিয়ে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু করা মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার লেনদেন শুরু হবে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর)। যে কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরের (২০২০ সাল) জন্যই লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

মোবাইল অপারেটর ও বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে শুরু থেকেই রবি আজিয়াটা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরী হয়। তবে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক দূর্বলতা প্রকাশের পরে তাতে কিছুটা ভাটা পড়ে।

এরপরেও অনেকে মনে করছেন রবির শেয়ার দর অনেক দূর যাবে। অনেকে আবার গ্রামীণফোনের সঙ্গে তুলনাও করে ফেলছেন। তবে কেউ কেউ মনে করছেন আরেকটি রিং সাইন হবে।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার বা বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ৪ পয়সা। তবে এটা ২০২০ সালের ব্যবসায় কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করেছে রবি। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু। এর আগে রিং সাইনের আইপিওতে ১৫ কোটি শেয়ার ইস্যু সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল।

ডিসেম্বর ক্লোজিং রবি আজিয়াটাকে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরের (২০২০ সাল) জন্যই লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। এমনিতেই ব্যবসায়িক দূর্বল কোম্পানি, তারসঙ্গে আবার নতুন ৫২ কোটির বেশি শেয়ার বেড়েছে। যা লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে বাড়তি ভোগান্তি হয়ে দাড়াবে।

একটি কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরির জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে কমপক্ষে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা মুনাফা করা দরকার। অন্যথায় রিজার্ভ থেকে দিতে হবে। তবে রবি সেই অবস্থায় নেই।

রবির নতুন শেয়ারের মধ্যে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করা করা হয়েছে বিনিয়োগকারিদের জন্য। বাকি ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে কোম্পানির কর্মচারীদের জন্য।

এর আগে ২০১৮ সালে রবির ইপিএস হয়েছিল ৪৬ পয়সা। তবে ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা ও ২০১৬ সালে ১ টাকা ৮৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

বিএসইসি অনুমোদন দিলেও রবি প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে ইস্যুর যোগ্যতা এখনো অর্জন করতে পারেনি। লোকসান কাটিয়ে মুনাফা করতে লড়াই করে যাওয়া এ কোম্পানিটির শেয়ার দর মূল্যায়ন এখনো ঋণাত্মক।

আরও পড়ুন…….
গ্রামীণফোনের থেকে ২৬৬১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ নিয়েও ধুকছে রবি
জিপির অর্ধেকের বেশি টার্নওভার রবির, কিন্তু মুনাফা ১ শতাংশেরও কম
সবচেয়ে বড় মূলধনী ন্যাশনাল ব্যাংক আস্থার তলানিতে, আসছে আরও দূর্বল ব্যবসার রবি

বিজনেস আওয়ার/২৩ ডিসেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: