বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সাড়ে ৩ মাস পর আবারও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। কোনও মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ রফতানির ঘোষণা দিয়েছে তারা। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আদেশ অনুযায়ী, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পেয়াঁজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কার্যকর হবে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত ইয়াদব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। রাতেই এ প্রজ্ঞাপনের কপি দিয়ে পেঁয়াজ রফতানির বিষয়টি ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মাহবুব হোসেন জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে বলে সোমবার রাতে একটি পত্রের কপি দিয়ে ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে কোনও মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে এই পেঁয়াজ রফতানি করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন। এখন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি। আজ আইপি খোলাসহ এ সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ব্যাংকগুলো থেকে এলসি খুলবো। যেহেতু পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম কোনও মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি, তাই আমদানিকারকরা কেনা দামেই আমদানি করতে পারবে।
এদিকে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের কারণে বাংলাদেশের বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, এখন অনুমতি দেওয়ায় দাম আগের অবস্থায় চলে আসবে। ভারতের পেঁয়াজ দেশের বাজারে এলে দাম কমবে। উপকৃত হবে ভোক্তা।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। সে সময় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত যাদব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯২ সালের ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
বিজনেস আওয়ার/২৯ ডিসেম্বর, ২০২০/এ