করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও অনলাইনে অভিযোগ করেছে বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তৈরী করা ‘কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউল’ এই অনলাইন মডিউলে এপ্রিল মাসে বিনিয়োগকারীরা ৫টি অভিযোগ করেছেন। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনলাইন মডিউল চালু হওয়ার আগে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করতে হতো বিনিয়োগকারীদেরকে। এজন্য স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ত। তবে এখন বাসায় বসেই সেই অভিযোগ করা যাচ্ছে। এমনকি বন্ধের মধ্যেও অভিযোগ করার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। এই সুযোগে করোনাভাইরাসের ছুটির মধ্যে এপ্রিল মাসে বিনিয়োগকারীরা অনলাইনে ৫টি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এদিকে বিএসইসির এই মডিউলের মাধ্যমে দ্রুত সমাধান হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ। ফলে এখন আর বছরের পর বছর অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এছাড়া এই অনলাইন মডিউলের কারনে অভিযোগকারীর হয়রানি এবং ব্যয় কমে এসেছে। এরফলে অভিযোগ করার এই অনলাইন মডিউলটির দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।
বিএসইসির পরিসংখ্যান অনুযায়ি, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অনলাইন মডিউলটি চালু হওয়ার পরে মোট ২৩৭টি অভিযোগ দাখিল করেছে বিনিয়োগকারীরা। এরমধ্যে ২১৯টি বা ৯২.৪১ শতাংশ সমাধান করা হয়ে গেছে। যেগুলো সমাধানে গড়ে ১৪দিন সময় লেগেছে। বাকি ১৮টি সমাধানের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
আগে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের কাগজ এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে যেতেই অনেক সময় লেগে যেত। তবে এখন আর সেই ভোগান্তি নেই। ফলে মডিউলটি চালুর হওয়ার পরে একটি অনলাইনের অভিযোগ গড়ে সাড়ে ১৪ দিনেই সমাধান হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সমাধানের হারও অনেক বেশি।
মডিউলটি চালু হওয়ার পরে সমচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে অক্টোবর মাসে। ওই মাসে ৮২টি অভিযোগ পায় কমিশন। এছাড়া নভেম্বর মাসে ৫৬টি, ডিসেম্বর মাসে ২৭টি, মার্চ মাসে ২৪টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৩টি, জানুয়ারি মাসে ১৯টি ও সেপ্টেম্বর মাসে ১টি অভিযোগ পায় কমিশন। ওইসব অভিযোগের মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের ৪টি, মার্চ মাসের ৯টি ও এপ্রিল মাসের ৫টি সমাধানের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অর্থাৎ এর আগের ৫ মাসের সব অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।