ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশকে ৩ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১
  • 50

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৩ জানুয়ারি) ৩৭তম বিসিএস-পুলিশ ব্যাচের শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবন থেকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমি আশা করব পুলিশ বাহিনী পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে। আমরা গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষের জীবনের শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।

বাংলাদেশের পুলিশকে জাতির পিতা ‘স্বাধীন দেশের পুলিশ’ বলেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন- একটা কথা ভুললে চলবে না তোমাদের, তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও, তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও, তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা, জনগণকে ভালোবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা।

সরকার প্রধান বলেন, অসহায়, বিপন্ন ও বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রতি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা ও মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেবে এবং জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। নানান ধরনের অপরাধ দমন তথা পুলিশকে আরও শক্তিশালী ও কার্য়কর করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে।

তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যেমন- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, শিল্প পুলিশ গড়ে তোলা হচ্ছে। অপরাধী শনাক্তকরণ এবং মামলা তদন্তে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার পুলিশ সেন্টার , ডিএনএ ল্যাব, Automated Finger Print Identification System এবং আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে সংযোজিত হতে যাচ্ছে সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট’ যাতে অপারেশনাল ডিউটিতে অফিসার এবং ফোর্সরা হ্যান্ড ফ্রি রেখে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিকে Centre of Excellence হিসেবে গড়ে তুলতে সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার , জনবল বাড়ানো, অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি এবং লজিস্টিকস সরবরাহসহ বিভিন্ন ধরনের যুগােপযােগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের সব পর্যায়ের সদস্যদের জন্য দেশীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রকে আমরা বিস্তৃত করেছি।

পুলিশ সদস্যদের কল্যাণের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্যদের জন্য পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের ভিত্তি আমাদের সরকারই গঠন করে দিয়েছে। ইতােমধ্যে পুলিশের জন্য কমিউনিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের পুলিশের সমপর্যায়ে উন্নীত করতে পুলিশের বাজেট ও জনবল ব্যাপক হারে বাড়িয়েছি। ২০০৯ সালে পুলিশের মোট বাজেট ছিল তিন হাজার কোটি টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পুলিশের মােট বাজেট দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামােতে ১ হাজার ৫০১টি ক্যাডার পদসহ ৮২ হাজার ২৩১টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের জনবল ২ লাখ ১২ হাজার ৮৩৬ জন। সারাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও দমনে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামােতে নতুন ইউনিট গঠন অব্যাহত আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ মিশনেও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রশংসিত হয়েছে। মহিলা পুলিশদেরও ভূয়সী প্রশংসা শুনতে পাই।

নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবময় ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আজকের নবীন কর্মকর্তারাও দেশের এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাে. শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা, অতিরিক্ত আইজিপিরা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।

বিজনেস আওয়ার/০৩ জানুয়ারি, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পুলিশকে ৩ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পোস্ট হয়েছে : ০১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৩ জানুয়ারি) ৩৭তম বিসিএস-পুলিশ ব্যাচের শিক্ষানবীশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবন থেকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমি আশা করব পুলিশ বাহিনী পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে। আমরা গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষের জীবনের শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।

বাংলাদেশের পুলিশকে জাতির পিতা ‘স্বাধীন দেশের পুলিশ’ বলেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন- একটা কথা ভুললে চলবে না তোমাদের, তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও, তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও, তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা, জনগণকে ভালোবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা।

সরকার প্রধান বলেন, অসহায়, বিপন্ন ও বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রতি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা ও মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেবে এবং জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। নানান ধরনের অপরাধ দমন তথা পুলিশকে আরও শক্তিশালী ও কার্য়কর করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে।

তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট যেমন- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, শিল্প পুলিশ গড়ে তোলা হচ্ছে। অপরাধী শনাক্তকরণ এবং মামলা তদন্তে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার পুলিশ সেন্টার , ডিএনএ ল্যাব, Automated Finger Print Identification System এবং আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে সংযোজিত হতে যাচ্ছে সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট’ যাতে অপারেশনাল ডিউটিতে অফিসার এবং ফোর্সরা হ্যান্ড ফ্রি রেখে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিকে Centre of Excellence হিসেবে গড়ে তুলতে সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার , জনবল বাড়ানো, অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি এবং লজিস্টিকস সরবরাহসহ বিভিন্ন ধরনের যুগােপযােগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের সব পর্যায়ের সদস্যদের জন্য দেশীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রকে আমরা বিস্তৃত করেছি।

পুলিশ সদস্যদের কল্যাণের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্যদের জন্য পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের ভিত্তি আমাদের সরকারই গঠন করে দিয়েছে। ইতােমধ্যে পুলিশের জন্য কমিউনিটি ব্যাংক, বাংলাদেশ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের পুলিশের সমপর্যায়ে উন্নীত করতে পুলিশের বাজেট ও জনবল ব্যাপক হারে বাড়িয়েছি। ২০০৯ সালে পুলিশের মোট বাজেট ছিল তিন হাজার কোটি টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পুলিশের মােট বাজেট দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামােতে ১ হাজার ৫০১টি ক্যাডার পদসহ ৮২ হাজার ২৩১টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের জনবল ২ লাখ ১২ হাজার ৮৩৬ জন। সারাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও দমনে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামােতে নতুন ইউনিট গঠন অব্যাহত আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ মিশনেও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রশংসিত হয়েছে। মহিলা পুলিশদেরও ভূয়সী প্রশংসা শুনতে পাই।

নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবময় ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আজকের নবীন কর্মকর্তারাও দেশের এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাে. শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা, অতিরিক্ত আইজিপিরা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।

বিজনেস আওয়ার/০৩ জানুয়ারি, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: