বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (সিলেট) : সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলায় এজাহার নামীয় ৮ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আর এর মধ্য দিয়ে এই গণধর্ষণ মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার সকালে কঠোর নিরাপত্তায় মামলার চার্জশিটভুক্ত আট আসামিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি রাশিদা সাইদা খানম বলেন, চার্জশিটভুক্ত সব আসামির উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক চার্জশিটের ওপর আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে স্বামীকে আটকে ওই গৃববধূকে (২৫) পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মী। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে এসএমপির শাহপরান থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে সন্দেহভাজন আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আটজনই আদালতে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর গ্রেফতার ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
অভিযুক্তরা হলেন, ছাত্রলীগ কর্মী ও এমসি কলেজের ছাত্র সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।
অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আটজনই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
বিজনেস আওয়ার/১২ জানুয়ারি, ২০২০/এ