বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা দেশের বাজারে বেসরকারিভাবেও বিক্রি করতে যাচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এতে প্রতি ডোজের দাম পড়বে এক হাজার ১২৫ টাকার (১৩.২৭ ডলার) মতো। আগামী মাসেই এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।
বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজার বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
সাক্ষাৎকারে রাব্বুর রেজা জানান, সরকারি টিকাদান কর্মসূচির বাইরে বেসরকারিভাবে বাজারে বিক্রির জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় ৩০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড টিকা কিনছে বেক্সিমকো। এর প্রতি ডোজের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটকে আট ডলার করে পরিশোধ করবে। সরকারকে দেওয়ার জন্য বেক্সিমকো সেরাম থেকে যে টিকা আনছে, এটি তার প্রায় দ্বিগুণ দাম।
প্রতিষ্ঠানটির সিওও রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সরকারি টিকাদান কর্মসূচির জন্য বেক্সিমকো বছরের প্রথমার্ধে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। সরকারের কাছে ও বাজারে বিক্রির জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট এ মাসের শেষ দিকেই টিকা সরবরাহ শুরু করবে। টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মাঝে বিরতি দিয়ে ভ্যাকিসনটির দুইটি ডোজ নিতে হবে।
রাব্বুর রেজা জানান, বেসরকারিভাবে তারা যে ৩০ লাখ ডোজ টিকা বিক্রির পরিকল্পনা করছেন এর মধ্যে ১০ লাখ ডোজের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখন আরও ২০ লাখ ডোজ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে তার প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এর বাইরে বায়োলোজিক্যাল ই ও ভারত বায়োটেকের মতো ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সরকার চাইলে বেক্সিমকো অন্যান্য টিকার বিষয়েও আলোচনা এগিয়ে নেবে।
রয়টার্স বলছে, সেরামের কাছ থেকে এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা সংগ্রহের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি করেছে ভারত। ভারতের কাছে তারা প্রতি ডোজের দাম রাখছে ২ দশমিক ৭৩ ডলার। তবে বাংলাদেশের কাছে প্রতি ডোজের দাম রাখা হচ্ছে চার ডলার করে। সেরামের কাছে ভারত যে মূল্যে এই টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সেই মূল্য প্রায় দেড়গুণ (৪৭ শতাংশ) বেশি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৩০২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৮০৩ জনের।
বিজনেস আওয়ার/১৩ জানুয়ারি, ২০২০/এ