ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮৩ সহযোগীর মাধ্যমে পিকের অর্থ গেছে ৩ দেশে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১
  • 44

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের সঙ্গে বিদেশে অর্থপাচারে সহযোগিতা করেছেন আরও ৮৩ জন। এসব অর্থ পাচার হয়েছে সিঙ্গাপুর, কানাডা ও ভারতে।

শনিবার (১৬ জানুয়ুয়ারি) হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেনস ইউনিট (বিএফআইইউ)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব মিলে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। এর মধ্যে পিকে হালদারের ৪০টি ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ঋণ নেওয়া ছাড়াও তার মা লীলাবতী হালদারের ৩টি ব্যাংক হিসাবে ১৬০ কোটি টাকা জমা হয়।

একইভাবে স্বজনদের বিভিন্ন কোম্পানির নামে করা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ১৭টি ভুয়া কোম্পানিতে থাকা ৫৮টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়।

এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের যেসব শেয়ার কেনা হয় তার প্রত্যেকটিতেই পিকে হালদার সিংহভাগের অংশীদার। এর মধ্যে সুখদা লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে অবন্তিকা বড়ালের নামে। ফলে পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অবন্তিকার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

আদালতের আদেশে যে ১৭টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ হয় সেখানে অবন্তিকার নামেও শেয়ার রয়েছে। সুখদা লিমিটেডে পিকে হালদারের ৯০ শতাংশ ছাড়াও মা লীলাবতী হালদার ও অবন্তিকারও শেয়ার ছিল।

বিজনেস আওয়ার/১৬ জানুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

৮৩ সহযোগীর মাধ্যমে পিকের অর্থ গেছে ৩ দেশে

পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের সঙ্গে বিদেশে অর্থপাচারে সহযোগিতা করেছেন আরও ৮৩ জন। এসব অর্থ পাচার হয়েছে সিঙ্গাপুর, কানাডা ও ভারতে।

শনিবার (১৬ জানুয়ুয়ারি) হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেনস ইউনিট (বিএফআইইউ)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব মিলে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। এর মধ্যে পিকে হালদারের ৪০টি ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ঋণ নেওয়া ছাড়াও তার মা লীলাবতী হালদারের ৩টি ব্যাংক হিসাবে ১৬০ কোটি টাকা জমা হয়।

একইভাবে স্বজনদের বিভিন্ন কোম্পানির নামে করা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ১৭টি ভুয়া কোম্পানিতে থাকা ৫৮টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়।

এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের যেসব শেয়ার কেনা হয় তার প্রত্যেকটিতেই পিকে হালদার সিংহভাগের অংশীদার। এর মধ্যে সুখদা লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে অবন্তিকা বড়ালের নামে। ফলে পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অবন্তিকার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

আদালতের আদেশে যে ১৭টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ হয় সেখানে অবন্তিকার নামেও শেয়ার রয়েছে। সুখদা লিমিটেডে পিকে হালদারের ৯০ শতাংশ ছাড়াও মা লীলাবতী হালদার ও অবন্তিকারও শেয়ার ছিল।

বিজনেস আওয়ার/১৬ জানুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: