ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বহুজাতিক রবি আজিয়াটার দর পতন

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দূর্বল ব্যবসা নিয়েও মোবাইল অপারেটর ও বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে লেনদেনের প্রথমদিন থেকে টানা দর বৃদ্ধি পাচ্ছিল রবি আজিয়াটার শেয়ার। এক্ষেত্রে অবশ্য স্বয়ং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ ভালোর প্রশ্নবিদ্ধ প্রচারনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে সেই টানা উত্থানে ছেদ পড়েছে রবিবার (১৭ জানুয়ারি)।

এদিন রবি আজিয়াটার শেয়ার দর কমেছে ৫.৬০ টাকা বা ৭.৯৯ শতাংশ। এর মাধ্যমে আগের দিনের ৭০.১০ টাকার শেয়ারটি ৬৪.৫০ টাকায় নেমে এসেছে।

আজ কোম্পানিটির ২৮১.২৭ কোটি টাকায় ৪ কোটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর শেয়ারটি ৬৩.১০ টাকা থেকে ৭৭.১০ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকে টানা বৃদ্ধি পাচ্ছিল রবি আজিয়াটার। মুনাফা দূর্বল হওয়ার কারনে কোম্পানিটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি হয়েও শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে (১০ টাকা) শেয়ার ইস্যু করে। যে শেয়ারটি টানা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ৭০.১০ টাকায় বেড়ে দাড়াঁয়। অর্থাৎ ২২ দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বাড়ে ৬০.১০ টাকা বা ৬০১ শতাংশ।

তবে এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন ছিল না বলে গত ৫ জানুয়ারি সতর্ক করেছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। সেই সময় কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩৫.৯০ টাকা। যে শেয়ারটি ডিএসইর ওই সতর্কের পরেও বেড়ে হয় প্রায় দ্বিগুণ।

ডিএসই কোম্পানিটির দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন খুজেঁ না পেলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অগাধ আস্থা তৈরী হয়। আরেক মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ার দর ৩৫০ টাকার উপরে অবস্থান করায়, রবির শেয়ার দরও অনেক দূর যাবে বলে ধারনা করে বিনিয়োগকারীরা।

এছাড়া বিনিয়োগকারীদের রবিতে আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বিএসইসি চেয়ারম্যানের কোম্পানিটি সম্পর্কে মার্কেটিং। রবি ২৫ বছরের পথচলায় লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে না পারলেও তিনি কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ অনেক ভালো বলে টেলিভিশনের টকশোতে জানান। যা বিনিয়োগকারীদেরকে আকৃষ্ট করে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হয়ে একটি কোম্পানির এমন প্রচারণা করতে পারে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সমালোচনা।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির নিয়ন্ত্রক বিএসইসি। এখানে কোন নির্দিষ্ট কোম্পানি বা সেক্টর নিয়ে বিএসইসির প্রচারণা করা ঠিক না। শেয়ারবাজার খুবই সেনসিটিভি জায়গা। তাই সবার আগে রেগুলেটেরের যেকোন বক্তব্য প্রভাব ফেলাটা স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন…..
গেম্বলিং আইটেম ফাইন ফুডসে বিভিন্ন অনিয়ম

উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ৪ পয়সার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) নিয়ে সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যুর জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পেয়েছে রবি আজিয়াটা। কোম্পানিটি প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন পায়। যা হবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জানুয়ারি, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বহুজাতিক রবি আজিয়াটার দর পতন

পোস্ট হয়েছে : ০২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দূর্বল ব্যবসা নিয়েও মোবাইল অপারেটর ও বহুজাতিক কোম্পানি হিসেবে লেনদেনের প্রথমদিন থেকে টানা দর বৃদ্ধি পাচ্ছিল রবি আজিয়াটার শেয়ার। এক্ষেত্রে অবশ্য স্বয়ং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ ভালোর প্রশ্নবিদ্ধ প্রচারনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে সেই টানা উত্থানে ছেদ পড়েছে রবিবার (১৭ জানুয়ারি)।

এদিন রবি আজিয়াটার শেয়ার দর কমেছে ৫.৬০ টাকা বা ৭.৯৯ শতাংশ। এর মাধ্যমে আগের দিনের ৭০.১০ টাকার শেয়ারটি ৬৪.৫০ টাকায় নেমে এসেছে।

আজ কোম্পানিটির ২৮১.২৭ কোটি টাকায় ৪ কোটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর শেয়ারটি ৬৩.১০ টাকা থেকে ৭৭.১০ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকে টানা বৃদ্ধি পাচ্ছিল রবি আজিয়াটার। মুনাফা দূর্বল হওয়ার কারনে কোম্পানিটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি হয়েও শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে (১০ টাকা) শেয়ার ইস্যু করে। যে শেয়ারটি টানা বৃদ্ধির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ৭০.১০ টাকায় বেড়ে দাড়াঁয়। অর্থাৎ ২২ দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বাড়ে ৬০.১০ টাকা বা ৬০১ শতাংশ।

তবে এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন ছিল না বলে গত ৫ জানুয়ারি সতর্ক করেছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। সেই সময় কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩৫.৯০ টাকা। যে শেয়ারটি ডিএসইর ওই সতর্কের পরেও বেড়ে হয় প্রায় দ্বিগুণ।

ডিএসই কোম্পানিটির দর বৃদ্ধির পেছনে কোন কারন খুজেঁ না পেলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অগাধ আস্থা তৈরী হয়। আরেক মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ার দর ৩৫০ টাকার উপরে অবস্থান করায়, রবির শেয়ার দরও অনেক দূর যাবে বলে ধারনা করে বিনিয়োগকারীরা।

এছাড়া বিনিয়োগকারীদের রবিতে আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বিএসইসি চেয়ারম্যানের কোম্পানিটি সম্পর্কে মার্কেটিং। রবি ২৫ বছরের পথচলায় লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে না পারলেও তিনি কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ অনেক ভালো বলে টেলিভিশনের টকশোতে জানান। যা বিনিয়োগকারীদেরকে আকৃষ্ট করে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হয়ে একটি কোম্পানির এমন প্রচারণা করতে পারে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সমালোচনা।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির নিয়ন্ত্রক বিএসইসি। এখানে কোন নির্দিষ্ট কোম্পানি বা সেক্টর নিয়ে বিএসইসির প্রচারণা করা ঠিক না। শেয়ারবাজার খুবই সেনসিটিভি জায়গা। তাই সবার আগে রেগুলেটেরের যেকোন বক্তব্য প্রভাব ফেলাটা স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন…..
গেম্বলিং আইটেম ফাইন ফুডসে বিভিন্ন অনিয়ম

উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ৪ পয়সার শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) নিয়ে সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যুর জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পেয়েছে রবি আজিয়াটা। কোম্পানিটি প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন পায়। যা হবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জানুয়ারি, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: