বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আলেশামার্ট নামক ই-কমার্স প্রতিষ্টান নতুন মার্কেটে এসেছে। ঢাক ঢোল পিটিয়ে বাজারে আসলেও কাস্টমারদের নানা ধরনের ভোগান্তিতে ফেলছে তারা। গ্রাহদের নানা প্রলোভনে ফেলে মেম্বারশিপ সেল করছে। কিন্তু মেম্বারশিপ এর যথাযথ কোন সুবিধা পাচ্ছে না গ্রাহকরা। অর্ডারের নামে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা শুরু করেছেন।
বিজনেস আওয়ার টুয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন আলেশামার্টের মেম্বারশিপ ক্রয়কারী কাস্টমার সাইফুল ইসলাম। যার মেম্বারশিপ কার্ড নম্বর- ১২১২৯৪০০০০৬১। সাইফুল ইসলামের মতো অনেকর সাথেই তারা প্রতারণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, তারা বিভিন্ন প্রকার আন-অফিসিয়াল মোবাইল ফোন সেট বিক্রয় করছে যা থেকে বাংলাদেশ সরকার অনেক রাজস্ব হারাচ্ছে। আবার লোভনীয় অফার দিচ্ছে বাইকের উপর। বলা হচ্ছে ১-৩৫ দিনে ডেলিভারি সম্পূর্ণ করবে। কিন্ত একজন কাস্টমার বাইক অডার করলেই তাদের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে।
তারা যদিও আগে আসলে আগে পাবেন ফর্মূলা অনুযায়ী ডেলিভারি প্রসেসিং করার কথা থাকলেও তাদের রিলেটিভ ২-৪ জনকে প্রতিদিন দিয়ে ডেলিভারি সম্পূর্ণ করছে। প্রতারণার মাধ্যম হিসেবে তাদের পেজে ঢালাও ভাবে নিউজ প্রচার করছে। যাতে কাস্টমার আকৃষ্ট হয়। বাস্তবে তারা ১০০০ অডার পেলেও ডেলিভারি করতেছে ৫-১০ টি বাইক আর মোটা অংকের ফান্ড কালেকশন করছে।
বাইক ডেলিভারি নেওয়া আকাশ নামে একজন অভিযোগ করেন, বাইক ডেলিভারি নেওয়ার সময় শোরুমে ডাকলেও ঘন্টার পর তাকে অপেক্ষা করতে হয়। তার অনেক ফটোশুট করা হয় যাতে পরিবর্তেতে এসব ছবি পেজে প্রকাশ করে রিয়েলিটি হিসাবে আস্থা তৈরি করতে পারে।
আবার আরেকজন অভিযোগ করেন, বাইক অডার করলে ছবি চায় ৮ কপি, ভোটার আইডির কপি জমা নেয় ২ কপি, বিদ্যুৎ বিলের কপি ২ কপি, টিন জমা নেয় ২ কপি। কিন্তু এতো গুলো ডকুমেন্ট কিসের জন্য জমা নেওয়া হয় সেটা কারো বোধগম্য নয়।
আরেকজন অভিযোগ করেন, আবার অডার নেওয়ার সময় একের অধিক প্রোডাক্ট ডেলিভারি করার কথা থাকলেও তারা অর্ডার নেওয়া শেষ হলে নানা তালবাহানা শুরু করে। কাস্টমারের সাথে জঘন্য খারাপ আচারন করে। এরকম হাজার অভিযোগ সদ্য মার্কেটে আসা নতুন আলেশামার্ট নামক ইকমার্সের।
শামসুল ইসলাম নামে একজন গ্রাহক জানান, তিনি আলিশা মার্টের বিজ্ঞাপন দেখে পরিবারের সদস্যদের জন্য কয়েকটি বাইক অর্ডার করেন। পেমেন্ট নেয়ার পর উক্ত কর্তৃপক্ষ তাকে ফোন করে অর্ডার ক্যানসেল করার হুমকি দেয় ও একাধিক অর্ডার দেয়ার কারনে তার সাথে ফোনে খারাপ ব্যবহার করে। তার অর্ডার নাম্বার ১৯৬৮,২০০৮,৩৩৫৯।
উল্লেখ্য যে, অফার দেয়ার সময় একাধিক বাইক অর্ডারের ক্ষেত্রে কোন বাধবাধ্যকতা ছিলোনা। গ্রাহক তাদের হেল্পলাইনে কল করেও নিশ্চিত হয়েছিলেন যে একাধিক অর্ডার করা যাবে। তাদের একটা কোম্পানি টার্মস এন্ড কন্ডিশন থাকলেও সেটি ছিলো পিকাবো অনলাইন হতে কপিকৃত টার্মস এন্ড কন্ডিশন৷ অর্থাৎ তারা কোনো পলিসি ছাড়াই চলছে ও কাস্টমারদের টাকা অন্যায়ভাবে আটকে ব্যবসা করার জন্যই এহেন পন্থা অবলম্বন করছে।
আরেকজন ভুক্তভোগী কাদের জানান, তিনি আলিশামার্ট হতে অফিসিয়াল বাইক অর্ডার করলেও ডেলিভারির সময় তাকে আনঅফিশিয়াল বাইক জোরপূর্বক প্রদান করা হয় এবং এ ব্যাপারে কোথাও মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়।
কাজী নামের আরেক গ্রাহক জানান, একটি Oneplus N10 6/128 মোবাইল অর্ডার করলে তিনিসহ সকল গ্রাহককে আন অফিশিয়াল ফোনসেট সরবরাহ করে আলিশামার্ট।
গ্রাহকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে ই-কমার্স প্রতিষ্টান আলেশামার্ট’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনজুর আলম শিকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিজনেস আওয়ার/২৭ জানুয়ারি, ২০২১/এ
One thought on “আলেশামার্ট’র বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ”