ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকাদানের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হবে দেশ : প্রধানমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১
  • 42

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : টিকাদানের মাধ্যমে দেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সক্ষম হবে। ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করি আমরা টিকাদান কার্যক্রমে সফল হব। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সব সময় টিকা পাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা সব জায়গায় চিঠি দিয়ে রেখেছিলাম। যাতে করে আগে টিকা পাই। চেষ্টা করেছি, যার টিকা আগে হবে সেটাই পেতে। এর মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকা দেশে এসেছে। এখন আমরা প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। এক হাজার কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছিলাম। কারণ দেশের মানুষকে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই।

টিকাদান কর্মসূচির সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আপনারা জানেন আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা সবকিছু নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে। টিকাদান কর্মসূচি নিয়েও তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। সবকিছু নিয়ে সমালোচনা করা তাদের রোগ।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে শুরু থেকেই আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলে রেখেছিলাম, বিশ্বের কোথায় কী ধরনের গবেষণা হচ্ছে, তারা যেন তার খোঁজ রাখে। কোথাও ভ্যাকসিন তৈরি হলে যেন আমরা আগে বুকিং দিয়ে রাখতে পারি। যে ভ্যাকসিন আগে বাজারে আসবে, সেটিই আমরা নেব— সেভাবেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করল। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট সেই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলো। এর মধ্যে সিরামের সঙ্গে যোগাযোগ করল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আমি বলেছিলাম, যতগুলো ডোজ কেনা যায়, আমরা নেব। সেভাবেই সিরাম ও বেক্সিমকোকে সঙ্গে নিয়ে সরকার ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছে। সেই সূত্রেই দেশে এসেছে ভ্যাকসিন।

তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় তো সবার মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করেছে। বলতে গেলে সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মধ্যেও জনজীবন যেন স্বাভাবিক থাকে, সে কারণে আমরা নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।

বিজনেস আওয়ার/২৭ জানুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

টিকাদানের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হবে দেশ : প্রধানমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : টিকাদানের মাধ্যমে দেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সক্ষম হবে। ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করি আমরা টিকাদান কার্যক্রমে সফল হব। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সব সময় টিকা পাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা সব জায়গায় চিঠি দিয়ে রেখেছিলাম। যাতে করে আগে টিকা পাই। চেষ্টা করেছি, যার টিকা আগে হবে সেটাই পেতে। এর মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকা দেশে এসেছে। এখন আমরা প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। এক হাজার কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছিলাম। কারণ দেশের মানুষকে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই।

টিকাদান কর্মসূচির সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আপনারা জানেন আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা সবকিছু নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে। টিকাদান কর্মসূচি নিয়েও তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। সবকিছু নিয়ে সমালোচনা করা তাদের রোগ।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে শুরু থেকেই আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলে রেখেছিলাম, বিশ্বের কোথায় কী ধরনের গবেষণা হচ্ছে, তারা যেন তার খোঁজ রাখে। কোথাও ভ্যাকসিন তৈরি হলে যেন আমরা আগে বুকিং দিয়ে রাখতে পারি। যে ভ্যাকসিন আগে বাজারে আসবে, সেটিই আমরা নেব— সেভাবেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করল। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট সেই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলো। এর মধ্যে সিরামের সঙ্গে যোগাযোগ করল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আমি বলেছিলাম, যতগুলো ডোজ কেনা যায়, আমরা নেব। সেভাবেই সিরাম ও বেক্সিমকোকে সঙ্গে নিয়ে সরকার ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছে। সেই সূত্রেই দেশে এসেছে ভ্যাকসিন।

তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় তো সবার মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করেছে। বলতে গেলে সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মধ্যেও জনজীবন যেন স্বাভাবিক থাকে, সে কারণে আমরা নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।

বিজনেস আওয়ার/২৭ জানুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: