ঢাকা , মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুরে দাড়িঁয়েছে সী পার্ল

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
  • 27

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা মহামারিতে যে কয়টি সেক্টর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম পর্যটন খাত। সারা বিশ্ব ঘরবন্দি হয়ে যাওয়ায় হোটেলগুলোর আয় একেবারে কমে যায়। তবে সেই মন্দাবস্থা কেটে কক্সবাজারের হোটেল ব্যবসা এখন চাঙ্গা। বরং করোনা পূর্ববর্তী সময়ের চেয়েও এখন পর্যটকদের ভীড় বেড়েছে। যাতে করে হোটেল কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়ও উল্লম্ফন হচ্ছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েল টিউলিপ ফ্রাইঞ্চাইজ পাঁচ তারকা মানের হোটেল সী পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার ব্যবসায়ও সেই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এমনকি কোম্পানিটির করোনা পূর্বের (২০১৯ সাল) থেকে বেশি আয় হচ্ছে এখন। কোম্পানির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কক্সবাজারে হোটেল ব্যবসায় এখন অনেক ভালো উল্লেখ করে সী পার্লের সচিব আজহারুল মামুন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, তার ইতিবাচক প্রভাব আমাদের হোটেল ব্যবসায়ও পড়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের অনেক সমাগম। যাতে করে সী পার্লের সব রুম ভাড়া থাকে। এমনকি রুম ভাড়া নিতে চাইলে অনেক আগে যোগাযোগ করতে হয়। পর্যটকদের ভীড়ের কারনে চাইলেই তাৎক্ষনিক রুম দেওয়া সম্ভব হয় না।

দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে সী পার্লের রুম ভাড়া, খাবার বিক্রিসহ অন্যান্য খাত থেকে ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আয় হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৩০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে আয় বেড়েছে ৭ কোটি ১২ লাখ টাকার বা ২৩ শতাংশ।

এরমধ্যে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আয়ের পরিমাণ ২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। যার পরিমাণ ২০১৯ সালের একইসময়ে ছিল ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকার বা ৫২ শতাংশ।

কোম্পানিটির ৬ মাসে আয় থেকে বিক্রি ব্যয়, পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাড়িঁয়েছে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.৬০ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.২৭ টাকা।

এ হিসেবে কোম্পানিটির আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২০ সালে শেষার্ধে মুনাফা বেড়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ১২৬ শতাংশ।

১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের সী পার্লে ১২৮ কোটি ১১ লাখ টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। যাতে কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) রয়েছে ১০.৬১ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/২৮ জানুয়ারি, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ঘুরে দাড়িঁয়েছে সী পার্ল

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনা মহামারিতে যে কয়টি সেক্টর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম পর্যটন খাত। সারা বিশ্ব ঘরবন্দি হয়ে যাওয়ায় হোটেলগুলোর আয় একেবারে কমে যায়। তবে সেই মন্দাবস্থা কেটে কক্সবাজারের হোটেল ব্যবসা এখন চাঙ্গা। বরং করোনা পূর্ববর্তী সময়ের চেয়েও এখন পর্যটকদের ভীড় বেড়েছে। যাতে করে হোটেল কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়ও উল্লম্ফন হচ্ছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েল টিউলিপ ফ্রাইঞ্চাইজ পাঁচ তারকা মানের হোটেল সী পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার ব্যবসায়ও সেই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এমনকি কোম্পানিটির করোনা পূর্বের (২০১৯ সাল) থেকে বেশি আয় হচ্ছে এখন। কোম্পানির চলতি অর্থবছরের ৬ মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কক্সবাজারে হোটেল ব্যবসায় এখন অনেক ভালো উল্লেখ করে সী পার্লের সচিব আজহারুল মামুন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, তার ইতিবাচক প্রভাব আমাদের হোটেল ব্যবসায়ও পড়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের অনেক সমাগম। যাতে করে সী পার্লের সব রুম ভাড়া থাকে। এমনকি রুম ভাড়া নিতে চাইলে অনেক আগে যোগাযোগ করতে হয়। পর্যটকদের ভীড়ের কারনে চাইলেই তাৎক্ষনিক রুম দেওয়া সম্ভব হয় না।

দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে সী পার্লের রুম ভাড়া, খাবার বিক্রিসহ অন্যান্য খাত থেকে ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আয় হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৩০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে আয় বেড়েছে ৭ কোটি ১২ লাখ টাকার বা ২৩ শতাংশ।

এরমধ্যে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আয়ের পরিমাণ ২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। যার পরিমাণ ২০১৯ সালের একইসময়ে ছিল ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকার বা ৫২ শতাংশ।

কোম্পানিটির ৬ মাসে আয় থেকে বিক্রি ব্যয়, পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাড়িঁয়েছে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.৬০ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.২৭ টাকা।

এ হিসেবে কোম্পানিটির আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২০ সালে শেষার্ধে মুনাফা বেড়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ১২৬ শতাংশ।

১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের সী পার্লে ১২৮ কোটি ১১ লাখ টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। যাতে কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) রয়েছে ১০.৬১ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/২৮ জানুয়ারি, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: