ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাড়া ফেলেছে মেহজাবিনের ‘ভাইরাল গার্ল’

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • 64

বিনোদন ডেস্ক : বর্তমান যুগে বেশরভাগ মানুষের হাতেই দেখা যায় হাতে স্মার্টফোন। যার কারণে চোখের সামনে ঘতে যাওয়া কোনো ঘটনার ছবি, ভিডিও ধারণ করে ছেড়ে দেয়া যায় সামাজিক মাধ্যমে। অনেক সময় ঘটনার আদ্যোপান্ত না জেনেই মনের মতো ক্যাপশন বসিয়ে দেয়া হয় ছবি বা ভিডিওর ওপর। এতে ভুক্তভুগীর অবস্থা কতটা নাজুক হতে পারে সেটা দেখিয়ে দেয়া হয়েছে ‘ভাইরাল গার্ল’ নাটকে।

জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর ইউটিউবে প্রকাশ হওয়া নাটকটি সাড়ে ১৭ লাখের কাছাকাছি ভিউ হয়েছে। কাজল আরেফিন অমি’র পরিচালনায় নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও মনোজ প্রামাণিক।

এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাই না করার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন মানুষকে কতটা হ্যারেজম্যান্ট করা যায় তার উদাহরণ ‘ভাইরাল গার্ল’। আমার মনে হয় এই নাটকটি দেখার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো কিছু শেয়ার করার আগে মানুষ কয়েক বার চিন্তা করবে। এটা হলো এই নাটকের স্বার্থকতা।

অনেক সময় প্রতিপক্ষকে গায়েল করতে ফেক আইডি খুলে যা ইচ্ছে করে যায় লোকজন। তাদের উদ্দেশে মেহজাবীন বলেন, একবার ভিকটিমের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে চিন্তা করুন, দেখবেন নিজের সামান্য আনন্দের জন্য অন্যের কত বড় ক্ষতি আপনি করে দিচ্ছেন। আরেকটা ব্যাপার হলো কেউ কিছু না দেখলেও আল্লাহ সব কিছু নজরে রাখেন। তার কাছে প্রত্যেকটা বিষয়ের হিসাব দিতে হবে।

নাটকতি প্রসঙ্গে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি বলেন, নাটকটি গ্রহণ করার জন্য আমি দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো সিরিয়াস গল্পের নাটক দিয়েও আলোচনায় আসা যায়।

‘সে নো টু অনলাইন হ্যারেসমেন্ট’ স্লোগান নিয়ে নির্মিত নাটকের গল্পে দেখা যায়, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন মেহজাবীন। পার্লার থেকে সেজে যাওয়ার পথে শিকার হন দুর্ঘটনার। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে কয়েকজন। মারধরের ভিডিওটি রীতিমতো ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। চাকরি হারান মেহজাবীন।

নাটকের শেষে জানা যায়, ফেক আইডির মাধ্যমে অনলাইনে প্রতারণা করে একটি চক্র। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই চক্রের সদস্যরা। উদঘাটন হয় সত্য ঘটনা। কিন্তু ততক্ষণে নিভে যায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া নাজিয়ার জীবন প্রদীপ।

নির্মাতা বলেন, গল্পটি বাস্তবধর্মী। সমসাময়িক এমন গল্পের নাটক প্রচারের পর লুফে নিয়েছে দর্শক। নাটকের কমেন্টস বক্সের মন্তব্যই তার প্রমাণ। একজন স্বাধীনচেতা মেয়ের গল্প ভাইরাল গার্ল। ভাইরাল হওয়ার পর তার জীবনে কেমন কালো অধ্যায় নেমে আসে সেটাই দেখানো হয়েছে নাটকে। ভাইরাল হয়ে পড়ার পরের ঘটনা নিয়েই নাটকের গল্প। নাটকটিতে দর্শকদের রেসপন্স আমাদের মুগ্ধ করেছে।

‘ভাইরাল গার্ল’ প্রযোজনা করেছে টার্ন কমিউনিকেশন। পরিচালনার পাশাপাশি এটির রচনা ও চিত্রনাট্য করেছেন কাজল আরেফিন অমি। মনোজ-মেহজাবীন ছাড়া এতে আরো অভিনয় করেছেন শাহেদ আলী সুজন, মিলি বাশার, রাজু সরকার, রকি খান, রত্না খান প্রমুখ। নাটকটি লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি সিনেমাটিক অ্যাপেও ফ্রি দেখার সুযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, মেহজাবীনের অভিনয় ক্যারিয়ার প্রায় একযুগ। এই সময়ে অনেক নাটকেই অভিনয় করেছেন। তবে ২০১৭ সালে ‘বড় ছেলে’ নাটকের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি। বিদায়ী বছর ‘ইরিনা’ নামের আরেকটি নাটক তাকে জাত অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। নতুন বছর ‘ভাইরাল গার্ল’ দিয়ে শুরু হলো তার সফলতার নতুন যাত্রা।

বিজনেস আওয়ার/০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সাড়া ফেলেছে মেহজাবিনের ‘ভাইরাল গার্ল’

পোস্ট হয়েছে : ১২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : বর্তমান যুগে বেশরভাগ মানুষের হাতেই দেখা যায় হাতে স্মার্টফোন। যার কারণে চোখের সামনে ঘতে যাওয়া কোনো ঘটনার ছবি, ভিডিও ধারণ করে ছেড়ে দেয়া যায় সামাজিক মাধ্যমে। অনেক সময় ঘটনার আদ্যোপান্ত না জেনেই মনের মতো ক্যাপশন বসিয়ে দেয়া হয় ছবি বা ভিডিওর ওপর। এতে ভুক্তভুগীর অবস্থা কতটা নাজুক হতে পারে সেটা দেখিয়ে দেয়া হয়েছে ‘ভাইরাল গার্ল’ নাটকে।

জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর ইউটিউবে প্রকাশ হওয়া নাটকটি সাড়ে ১৭ লাখের কাছাকাছি ভিউ হয়েছে। কাজল আরেফিন অমি’র পরিচালনায় নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও মনোজ প্রামাণিক।

এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, সত্য-মিথ্যা যাচাই না করার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন মানুষকে কতটা হ্যারেজম্যান্ট করা যায় তার উদাহরণ ‘ভাইরাল গার্ল’। আমার মনে হয় এই নাটকটি দেখার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো কিছু শেয়ার করার আগে মানুষ কয়েক বার চিন্তা করবে। এটা হলো এই নাটকের স্বার্থকতা।

অনেক সময় প্রতিপক্ষকে গায়েল করতে ফেক আইডি খুলে যা ইচ্ছে করে যায় লোকজন। তাদের উদ্দেশে মেহজাবীন বলেন, একবার ভিকটিমের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে চিন্তা করুন, দেখবেন নিজের সামান্য আনন্দের জন্য অন্যের কত বড় ক্ষতি আপনি করে দিচ্ছেন। আরেকটা ব্যাপার হলো কেউ কিছু না দেখলেও আল্লাহ সব কিছু নজরে রাখেন। তার কাছে প্রত্যেকটা বিষয়ের হিসাব দিতে হবে।

নাটকতি প্রসঙ্গে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি বলেন, নাটকটি গ্রহণ করার জন্য আমি দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো সিরিয়াস গল্পের নাটক দিয়েও আলোচনায় আসা যায়।

‘সে নো টু অনলাইন হ্যারেসমেন্ট’ স্লোগান নিয়ে নির্মিত নাটকের গল্পে দেখা যায়, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন মেহজাবীন। পার্লার থেকে সেজে যাওয়ার পথে শিকার হন দুর্ঘটনার। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে কয়েকজন। মারধরের ভিডিওটি রীতিমতো ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। চাকরি হারান মেহজাবীন।

নাটকের শেষে জানা যায়, ফেক আইডির মাধ্যমে অনলাইনে প্রতারণা করে একটি চক্র। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওই চক্রের সদস্যরা। উদঘাটন হয় সত্য ঘটনা। কিন্তু ততক্ষণে নিভে যায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া নাজিয়ার জীবন প্রদীপ।

নির্মাতা বলেন, গল্পটি বাস্তবধর্মী। সমসাময়িক এমন গল্পের নাটক প্রচারের পর লুফে নিয়েছে দর্শক। নাটকের কমেন্টস বক্সের মন্তব্যই তার প্রমাণ। একজন স্বাধীনচেতা মেয়ের গল্প ভাইরাল গার্ল। ভাইরাল হওয়ার পর তার জীবনে কেমন কালো অধ্যায় নেমে আসে সেটাই দেখানো হয়েছে নাটকে। ভাইরাল হয়ে পড়ার পরের ঘটনা নিয়েই নাটকের গল্প। নাটকটিতে দর্শকদের রেসপন্স আমাদের মুগ্ধ করেছে।

‘ভাইরাল গার্ল’ প্রযোজনা করেছে টার্ন কমিউনিকেশন। পরিচালনার পাশাপাশি এটির রচনা ও চিত্রনাট্য করেছেন কাজল আরেফিন অমি। মনোজ-মেহজাবীন ছাড়া এতে আরো অভিনয় করেছেন শাহেদ আলী সুজন, মিলি বাশার, রাজু সরকার, রকি খান, রত্না খান প্রমুখ। নাটকটি লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি সিনেমাটিক অ্যাপেও ফ্রি দেখার সুযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, মেহজাবীনের অভিনয় ক্যারিয়ার প্রায় একযুগ। এই সময়ে অনেক নাটকেই অভিনয় করেছেন। তবে ২০১৭ সালে ‘বড় ছেলে’ নাটকের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি। বিদায়ী বছর ‘ইরিনা’ নামের আরেকটি নাটক তাকে জাত অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। নতুন বছর ‘ভাইরাল গার্ল’ দিয়ে শুরু হলো তার সফলতার নতুন যাত্রা।

বিজনেস আওয়ার/০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: