ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাসপোর্ট জব্দের পরও কীভাবে পি কে হালদার বিদেশ : হাইকোর্ট

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • 59

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার কিভাবে বিদেশে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। পি কে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকাও আদালতে দাখিল করতে হবে।

একইসঙ্গে আদালত এর কারণ জানতে চেয়ে পি কে হালদারের মামলার সর্বশেষ অগ্রগতিও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা ১৫ মার্চের মধ্যে জানতে চেয়েছেন আদালত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০১০ সাল থেকে কর্মরত ৩৯৪ জন কর্মকর্তাদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের পর সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন বিভাগে ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাদের নাম, পদবী, ঠিকানা সরবরাহ করতে গত ২১ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই সময়ে অর্থপাচার রোধে এসব কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা আছে কিনা এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছিল।

এর আগে ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ম্যানুয়াল সিস্টেম থাকায় তাদের তালিকা প্রণয়নে সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া জালিয়াতি ও অর্থ পাচারে ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এজন্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময় প্রয়োজন। এ বিষয়গুলো উপস্থাপনের পর আদালত আদেশ দেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর একটি দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় গত ২১ জানুয়ারি উক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।

বিজনেস আওয়ার/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পাসপোর্ট জব্দের পরও কীভাবে পি কে হালদার বিদেশ : হাইকোর্ট

পোস্ট হয়েছে : ১২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার কিভাবে বিদেশে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। পি কে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকাও আদালতে দাখিল করতে হবে।

একইসঙ্গে আদালত এর কারণ জানতে চেয়ে পি কে হালদারের মামলার সর্বশেষ অগ্রগতিও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা ১৫ মার্চের মধ্যে জানতে চেয়েছেন আদালত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০১০ সাল থেকে কর্মরত ৩৯৪ জন কর্মকর্তাদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের পর সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন বিভাগে ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাদের নাম, পদবী, ঠিকানা সরবরাহ করতে গত ২১ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই সময়ে অর্থপাচার রোধে এসব কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা আছে কিনা এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছিল।

এর আগে ২০০৮ ও ২০০৯ সালে ম্যানুয়াল সিস্টেম থাকায় তাদের তালিকা প্রণয়নে সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া জালিয়াতি ও অর্থ পাচারে ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এজন্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময় প্রয়োজন। এ বিষয়গুলো উপস্থাপনের পর আদালত আদেশ দেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর একটি দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় গত ২১ জানুয়ারি উক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।

বিজনেস আওয়ার/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: