বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : গত বছরের শেষ সপ্তাহে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় দূর্বল ব্যবসার রবি আজিয়াটা। যে কোম্পানিটি লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। তারপরেও শেয়ারপ্রতি মাত্র কয়েক পয়সা মুনাফা করা কোম্পানিটি নিয়ে আকাশ কুসুম ভাবনা ভাবে এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বাস্তবে যখন কোম্পানিটির পর্ষদ ২০২০ সালের জন্য ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে, তখন ভেঙ্গে পড়ে বিনিয়োগকারীরা।
এর মাধ্যমে বিদায়ী সপ্তাহে (১৪-১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে বহূজাতিক ও মোবাইল অপারেটর এই কোম্পানিটি। গত সপ্তাহে ১২.২৮ শতাংশ দর পতনের মাধ্যমে কোম্পানিটি টপ টেন লুজারের শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এই পতনের পেছনে কারন হিসেবে রয়েছে রবি আজিয়াটার পর্ষদের ২০২০ সালের ব্যবসায় ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা। অনেক বিনিয়োগকারী দূর্বল ব্যবসার রবির কাছে লভ্যাংশ প্রত্যাশা করেছিল। যা বাস্তবে না পেয়ে হতাশ হয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটির লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা নেই এবং দিতে পারবে না, এটা অনেকেই জানত। বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। যে কারনে তারা কোম্পানিটি থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
লভ্যাংশের সক্ষমতা নিয়ে রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের যে পরিমাণ মুনাফা হয়েছে, তাতে করে অর্ধেক মুনাফা লভ্যাংশ আকারে দিতে গেলে হয়তো ১.৬৭ শতাংশ হারে দিতে পারতাম। আর পুরোটা দিতে গেলে ৩.৩৩ শতাংশ হতো। এই অল্প লভ্যাংশ দিয়ে সবাইকে খুশি করতে পারতাম কিনা, তা ভাবনার বিষয় ছিল।
জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে রবির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৪.৮০ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৩৯.৩০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৫০ টাকা বা ১২.২৮ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে রবি ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করেছে।
ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে – জিল বাংলা সুগারের ১২.২১ শতাংশ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ১০.১৫ শতাংশ, মীর আক্তারের ৭.৬৮ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংকের ৬.৬৩ শতাংশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৬.৩৫ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ৫.৮১ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৫.৫৪ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ৫.১৭ শতাংশ ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ৫.০৫ শতাংশ দর কমেছে।
বিজনেস আওয়ার/২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এস