ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত শহীদ মিনার

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • 59

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দিনটি ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস। বিশেষ এই দিনে শহীদ মিনরে জাতির সূর্য সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। আর দিবসটিকে কেন্দ্র করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাল্টে গেছে শহীদ মিনার এলাকার চিত্র। বছরের অন্যান্য সময় ধুলিধূসরিত অবস্থায় শহীদ মিনার হয়ে থাকে ভাসমান মানুষের আশ্রয়স্থল। এখন আর সেসব নেই। বরং সাজসজ্জার পর শহীদ মিনারে বিরাজ করছে এক ভাব-গাম্ভীর্যের পরিবেশ। শুধুই সৌন্দর্য্য বর্ধনই নয়, দিবসটিকে কেন্দ্র করে অন্যান্য বছরের মতো এবারও নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এই দিনটি বিশেষ মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে উদযাপন করা হয়। শুধু বাঙালি নয়, এখন পুরো বিশ্ব স্মরণ করে সেই মহান মানবদের, যারা পৃথিবীতে প্রথম ও একমাত্র জাতি হিসেবে রাষ্ট্রভাষার জন্য জীবন দেন। তাদের স্মরণে নির্মাণ করা হয় এই স্থাপনা। শহীদ মিনার নির্মাণের পেছনেও আছে ইতিহাস৷

ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, বায়ান্ন’র ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত প্রহরের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তৈরি করেন প্রথম শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটির নকশা করেছিলেন সাঈদ হায়দার। কিন্তু নির্মাণের মাত্র তিন দিন পর মুসলিম লীগ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া সেনাবাহিনীর বন্দুকের নল থেকে রক্ষা পায়নি সেটি।

বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর শহীদ মিনারটি দ্বিতীয় বার নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৯৫৭ সালে। এটির নকশা তৈরি করেন হামিদুর রহমান। পরে ৫৮ সালে সামরিক সরকার জেনারেল আইয়ুব খানের সময় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জেনারেল আযম খানের সময় নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬৩ সালে। ওই বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ভাষা শহীদ আবুল রকতের মা হাসিনা বেগম।

শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষে দিকে। শনিবার দুপুরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। এবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শহীদ দিবস উদযাপন করা হবে। অনুরোধ থাকবে, যাতে তারা মাস্ক পরে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।

বিজনেস আওয়ার/২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত শহীদ মিনার

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দিনটি ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস। বিশেষ এই দিনে শহীদ মিনরে জাতির সূর্য সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। আর দিবসটিকে কেন্দ্র করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাল্টে গেছে শহীদ মিনার এলাকার চিত্র। বছরের অন্যান্য সময় ধুলিধূসরিত অবস্থায় শহীদ মিনার হয়ে থাকে ভাসমান মানুষের আশ্রয়স্থল। এখন আর সেসব নেই। বরং সাজসজ্জার পর শহীদ মিনারে বিরাজ করছে এক ভাব-গাম্ভীর্যের পরিবেশ। শুধুই সৌন্দর্য্য বর্ধনই নয়, দিবসটিকে কেন্দ্র করে অন্যান্য বছরের মতো এবারও নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এই দিনটি বিশেষ মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে উদযাপন করা হয়। শুধু বাঙালি নয়, এখন পুরো বিশ্ব স্মরণ করে সেই মহান মানবদের, যারা পৃথিবীতে প্রথম ও একমাত্র জাতি হিসেবে রাষ্ট্রভাষার জন্য জীবন দেন। তাদের স্মরণে নির্মাণ করা হয় এই স্থাপনা। শহীদ মিনার নির্মাণের পেছনেও আছে ইতিহাস৷

ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, বায়ান্ন’র ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত প্রহরের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তৈরি করেন প্রথম শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটির নকশা করেছিলেন সাঈদ হায়দার। কিন্তু নির্মাণের মাত্র তিন দিন পর মুসলিম লীগ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া সেনাবাহিনীর বন্দুকের নল থেকে রক্ষা পায়নি সেটি।

বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর শহীদ মিনারটি দ্বিতীয় বার নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৯৫৭ সালে। এটির নকশা তৈরি করেন হামিদুর রহমান। পরে ৫৮ সালে সামরিক সরকার জেনারেল আইয়ুব খানের সময় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জেনারেল আযম খানের সময় নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬৩ সালে। ওই বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ভাষা শহীদ আবুল রকতের মা হাসিনা বেগম।

শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষে দিকে। শনিবার দুপুরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। এবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শহীদ দিবস উদযাপন করা হবে। অনুরোধ থাকবে, যাতে তারা মাস্ক পরে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।

বিজনেস আওয়ার/২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: