বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি। পিলখানা ট্রাজেডির একযুগ। ২০০৯ সালের এদিনে তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ যায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তার। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানীর সামরিক কবরস্থানে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
করোনার কারণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিবদ্বয় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী বনানীর সামরিক কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বনানী কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের প্রতি আরও শ্রদ্ধা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শহীদদের সম্মানে স্যালুট দেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে পরিচিত এটি।
এসময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত করার দাবি জানান স্বজনরা। বয়স্ক স্বজনরা বিচার দেখে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা। স্বজনদের দাবি, নেপথ্যে করা ছিল, সেটা বের না হলে, এবং তাদের বিচার না হলে তারা তৃপ্তি পাবেন না।
বিজনেস আওয়ার/২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১/এ