ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলেক মিয়া হত্যা : ৮ জনের যাবজ্জীবন

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • 56

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর তুরাগ থানাধীন নলভোগ এলাকায় ২০০৮ সালের ২৫ জুন আলেক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আ. রাজ্জাক, আ. সাত্তার, আ. জব্বার, আউয়াল মিয়া ওরফে আউয়াল, সমর আলী ওরফে সমর এবং তমিজ উদ্দিন ওরফে তমু। পাশাপাশি এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

রায়ে আসামি সোহেল রানা, সোহরাব মিয়া, বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল এবং ফিরোজ মিয়াকে পৃথক দুই ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বারেক, মোস্তফা, মো. ওমর আলীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৪ মার্চ দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৫ জুন সকাল ১১ টার দিকে তুরাগ থানাধীন নলভোগ গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরা আলেক মিয়ার বাড়িতে আসামিরা লোহার রড, রাম দা, হকিস্টিক, শাবল, চাইনিজ কুড়ালসহ প্রবেশ করে সেখানে উপস্থিত অন্যাদের মারতে শুরু করে।

ভয়ে আলেক মিয়া বাড়ীর ছাদে যান। আসামি সমর আলী ও তমিজ উদ্দিন সেখানে গিয়ে আলেক মিয়াকে জাপটে ধরেন। আলাল, রাজ্জাক, জয়নাল রড দিয়ে তার মাথায়, শরীরে আঘাত করেন। সাত্তার শাবল দিয়ে ভিকটিমের কানের নীচে আঘাত করে। গুরুতর আহত আলেক মিয়া ছাদে পড়ে যান।

এরপরও জব্বার এবং আউয়াল তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। আলেক মিয়াকে চিকিৎসার জন্য ভাসানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহরে ছোটভাই হাজী মো. রমজান আলী তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই মিজানুর রহমান। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৪ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আলেক মিয়া হত্যা : ৮ জনের যাবজ্জীবন

পোস্ট হয়েছে : ১২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : রাজধানীর তুরাগ থানাধীন নলভোগ এলাকায় ২০০৮ সালের ২৫ জুন আলেক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আ. রাজ্জাক, আ. সাত্তার, আ. জব্বার, আউয়াল মিয়া ওরফে আউয়াল, সমর আলী ওরফে সমর এবং তমিজ উদ্দিন ওরফে তমু। পাশাপাশি এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

রায়ে আসামি সোহেল রানা, সোহরাব মিয়া, বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল এবং ফিরোজ মিয়াকে পৃথক দুই ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বারেক, মোস্তফা, মো. ওমর আলীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৪ মার্চ দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৫ জুন সকাল ১১ টার দিকে তুরাগ থানাধীন নলভোগ গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরা আলেক মিয়ার বাড়িতে আসামিরা লোহার রড, রাম দা, হকিস্টিক, শাবল, চাইনিজ কুড়ালসহ প্রবেশ করে সেখানে উপস্থিত অন্যাদের মারতে শুরু করে।

ভয়ে আলেক মিয়া বাড়ীর ছাদে যান। আসামি সমর আলী ও তমিজ উদ্দিন সেখানে গিয়ে আলেক মিয়াকে জাপটে ধরেন। আলাল, রাজ্জাক, জয়নাল রড দিয়ে তার মাথায়, শরীরে আঘাত করেন। সাত্তার শাবল দিয়ে ভিকটিমের কানের নীচে আঘাত করে। গুরুতর আহত আলেক মিয়া ছাদে পড়ে যান।

এরপরও জব্বার এবং আউয়াল তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। আলেক মিয়াকে চিকিৎসার জন্য ভাসানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহরে ছোটভাই হাজী মো. রমজান আলী তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই মিজানুর রহমান। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/০৪ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: