ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা ফুসফুস ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত করে

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
  • 101

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : যতই দিন যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ধরণও পাল্টাচ্ছে। গবেষকরা তাদের গবেষণা চালিয়ে বের করছেন একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষকদের দাবি, করোনা শুধু ফুসফুস নয় বরং হৃৎপিণ্ড, স্নায়ু, মস্তিষ্ক, কিডনি, ধমনি, রক্তপিণ্ডকেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

পাঠক জেনে নিন করোনা ভাইরাস কীভাবে অন্যান্য অঙ্গকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে-

হৃৎপিণ্ড
যাদের হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে করোনায় তাদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তবে যাদের এসব রোগ নেই তাদেরও আক্রান্তের পর হৃৎপিণ্ডের পেশির কোষ মারা যায়। তবে এটি হওয়ার দুটি সম্ভাব্য কারণের কথা বলছেন তারা। একটি হল ভাইরাসের আক্রমণে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের তৈরি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে। তবে এখনো নিশ্চিত নন।

স্নায়ু
শুরুতে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের স্বাদ এবং ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণ ফ্লুর ক্ষেত্রে এটি হলেও তা খুবই কম। ঘ্রাণ শক্তি বা অলফ্যাক্টরি নার্ভ অনুনাসিক ঝিল্লি থেকে খুলির হাড়ের মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছায়।

ধমনি
জুরিখের একদল প্যাথলোজিস্ট করোনায় মারা যাওয়া কয়েকজনের ময়নাতদন্ত করে দেখতে পান তাদের কারো কারো রক্তনালি এবং লাসিকা গ্রন্থি ফুলে গিয়ে সেগুলোতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে হৃৎপিণ্ড, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এক সঙ্গে বিকল হয়ে যায়। যার কারণে দ্রুত সেই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে।

মস্তিষ্ক
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের খিচুনি এবং মৃগীরোগের চিকিৎসা দিতে হয়েছে। এ কারণেই হয়তো আক্রান্ত অনেকের মধ্যে কোনো পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।

কিডনি
করোনায় আক্রান্ত অনেকের শরীরে নিউমোনিয়ার লক্ষণ থাকে। তখন রোগীর ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হয়। ফুসফুসে জমা তরল বের করতে ওই রোগীদের যে ওষুধ দেয়া হয় তাতে তাদের পুরো শরীর থেকে তরল বের হয়ে যায়। ফলে কিডনিতে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। ফলে কিডনি ঠিকমত কাজ করতে না পেরে অকেজো হয়ে যায়।

রক্তপিণ্ড
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে অনেক সময় রক্ত জমাট বেধে রক্তনালি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে অনেক সময় কিডনিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে অঙ্গটি অকেজো হয়ে পড়ে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

উল্লেখ্য, মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় চার লাখের বেশি মানুষ। বাংলাদেশেও প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা।

বিজনেস আওয়ার/১৫ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

করোনা ফুসফুস ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত করে

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : যতই দিন যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ধরণও পাল্টাচ্ছে। গবেষকরা তাদের গবেষণা চালিয়ে বের করছেন একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষকদের দাবি, করোনা শুধু ফুসফুস নয় বরং হৃৎপিণ্ড, স্নায়ু, মস্তিষ্ক, কিডনি, ধমনি, রক্তপিণ্ডকেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

পাঠক জেনে নিন করোনা ভাইরাস কীভাবে অন্যান্য অঙ্গকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে-

হৃৎপিণ্ড
যাদের হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে করোনায় তাদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তবে যাদের এসব রোগ নেই তাদেরও আক্রান্তের পর হৃৎপিণ্ডের পেশির কোষ মারা যায়। তবে এটি হওয়ার দুটি সম্ভাব্য কারণের কথা বলছেন তারা। একটি হল ভাইরাসের আক্রমণে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের তৈরি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে। তবে এখনো নিশ্চিত নন।

স্নায়ু
শুরুতে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের স্বাদ এবং ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণ ফ্লুর ক্ষেত্রে এটি হলেও তা খুবই কম। ঘ্রাণ শক্তি বা অলফ্যাক্টরি নার্ভ অনুনাসিক ঝিল্লি থেকে খুলির হাড়ের মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছায়।

ধমনি
জুরিখের একদল প্যাথলোজিস্ট করোনায় মারা যাওয়া কয়েকজনের ময়নাতদন্ত করে দেখতে পান তাদের কারো কারো রক্তনালি এবং লাসিকা গ্রন্থি ফুলে গিয়ে সেগুলোতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে হৃৎপিণ্ড, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এক সঙ্গে বিকল হয়ে যায়। যার কারণে দ্রুত সেই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে।

মস্তিষ্ক
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের খিচুনি এবং মৃগীরোগের চিকিৎসা দিতে হয়েছে। এ কারণেই হয়তো আক্রান্ত অনেকের মধ্যে কোনো পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।

কিডনি
করোনায় আক্রান্ত অনেকের শরীরে নিউমোনিয়ার লক্ষণ থাকে। তখন রোগীর ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হয়। ফুসফুসে জমা তরল বের করতে ওই রোগীদের যে ওষুধ দেয়া হয় তাতে তাদের পুরো শরীর থেকে তরল বের হয়ে যায়। ফলে কিডনিতে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। ফলে কিডনি ঠিকমত কাজ করতে না পেরে অকেজো হয়ে যায়।

রক্তপিণ্ড
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে অনেক সময় রক্ত জমাট বেধে রক্তনালি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে অনেক সময় কিডনিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে অঙ্গটি অকেজো হয়ে পড়ে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

উল্লেখ্য, মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় চার লাখের বেশি মানুষ। বাংলাদেশেও প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা।

বিজনেস আওয়ার/১৫ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: