ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১
  • 67

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (নোয়াখালী) : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে শ্রমিকলীগের কর্মী আলা উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম মোছলেউদ্দিন নিজামের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার বাদী নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী এমদাদ হোসেন নিজেই।

মামলায় দ্বিতীয় আসামি তার ছোট ভাই সাহাদাত হোসেন ও তৃতীয় আসামি কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম মোছলেউদ্দিন নিজামের আদালতে মামলার বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল সাপেক্ষে বিকেল ৩টায় এ হত্যা মামলার ওপর শুনানি হবে।

মামলার বাদী মো. এমদাদ হোসেন বলেন, ১১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামিসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার এজাহার দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধান আসামি মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ না দেয়ায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড করেনি। তাই রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছি।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, মামলায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে মাশরুর কাদের তাসিক মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিকেলে শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন ওরফে রাজু বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় যান। এজাহারে ত্রুটি থাকার অযুহাতে পুলিশ তা নেয়নি বলে সাংবাদিকদের জানান এমদাদ।

পরে শুক্রবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় রোববার আদালতে মামলা করা হয়। পুলিশ মামলা না নেওয়ায় নিহত আলাউদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের চর ফকিরা ইউনিয়নের চর কালি গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, মামলার প্রধান আসামি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ দেওয়া হলে পুলিশ মামলা নেবে বলে জানায়। কাদের মির্জার নাম বাদ না দেওয়ায় মামলা
নেয়নি পুলিশ।

বিজনেস আওয়ার/১৪ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

পোস্ট হয়েছে : ০২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (নোয়াখালী) : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে শ্রমিকলীগের কর্মী আলা উদ্দিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম মোছলেউদ্দিন নিজামের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার বাদী নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী এমদাদ হোসেন নিজেই।

মামলায় দ্বিতীয় আসামি তার ছোট ভাই সাহাদাত হোসেন ও তৃতীয় আসামি কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএম মোছলেউদ্দিন নিজামের আদালতে মামলার বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল সাপেক্ষে বিকেল ৩টায় এ হত্যা মামলার ওপর শুনানি হবে।

মামলার বাদী মো. এমদাদ হোসেন বলেন, ১১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামিসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার এজাহার দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধান আসামি মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ না দেয়ায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড করেনি। তাই রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছি।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, মামলায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে মাশরুর কাদের তাসিক মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিকেলে শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন ওরফে রাজু বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় যান। এজাহারে ত্রুটি থাকার অযুহাতে পুলিশ তা নেয়নি বলে সাংবাদিকদের জানান এমদাদ।

পরে শুক্রবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় রোববার আদালতে মামলা করা হয়। পুলিশ মামলা না নেওয়ায় নিহত আলাউদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের চর ফকিরা ইউনিয়নের চর কালি গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, মামলার প্রধান আসামি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ দেওয়া হলে পুলিশ মামলা নেবে বলে জানায়। কাদের মির্জার নাম বাদ না দেওয়ায় মামলা
নেয়নি পুলিশ।

বিজনেস আওয়ার/১৪ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: