বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিসিএস পরীক্ষা হলে আক্রান্তের হার বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করে পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে ১০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট সেই রিট খারিজ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে পিএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের রিট খারিজের কারণে ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় আর কোনো বাধা রইল না। আজ শুক্রবার (১৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪১ তম বিসিএস পরীক্ষা। এতে পৌনে পাঁচ লাখ প্রার্থীর এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কী কী আনা যাবে আর কী কী আনা যাবে না, তা পরীক্ষার্থীদের এক দিন আগে অর্থাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার এসএমএস করে জানিয়ে দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)।
পিএসসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরীক্ষার সব প্রস্তুতি তারা গ্রহণ করেছেন। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ জন্য ১১ দফা নির্দেশনাও দিয়েছে পিএসসি। সেগুলো সবাই মানতেই হবে। কোনো কেন্দ্রে যদি কোনো প্রার্থীর তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাহলে তাঁকে অন্য হলে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ ছাড়া চিকিৎসকও পরীক্ষাকেন্দ্র থাকবেন।
পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেছেন, ‘সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। কেন্দ্রে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছি আমরা। সব মিলে আমাদের খুব ভালো প্রস্তুতি আছে।’
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহমদ বলেন, অনেকে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে যে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে না। এসব গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথা সময়ে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গত মঙ্গলবার পিএসসির ৪১তম বিসিএস কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় থাকা সংশ্লিষ্টদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষার হলে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষার হলের বাইরে পরীক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা বা স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেট থার্মোমিটার থাকতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষার হলে এবং কন্ট্রোলরুমে জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
পিএসসির ১১টি নির্দেশনায় বলা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব এলাকা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি পালনের বার্তাসংবলিত পোস্টার ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। অপেক্ষমাণ জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধা এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনে গোল চিহ্ন দিয়ে দাঁড়ানোর স্থান নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো পরিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। আসন ব্যবস্থায় দুজন পরিক্ষার্থীর মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব থাকতে হবে। পরীক্ষার হলের বাইরে জনসমাবেশ পরিহার করতে হবে।
বিজনেস আওয়ার/১৯ মার্চ, ২০২১/কমা