ঢাকা , শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সপ্তাহের ব্যবধানে পৌনে ১১ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
  • 53

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহে উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। পতনের কারণে সাপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা পৌনে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ৭৫৬ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৬২৭ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ১২১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৬৮ কোটি ১১ লাখ ৯৭ হাজার ১২৫ টাকা বা ২৬.৯২ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭১৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬২ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ৩১৯ টাকা কম হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৪.১৬ পয়েন্ট বা ২.১৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৪.৬৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৮.০৯ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮০.৭৮ পয়েন্ট বা ৩.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়ে ১২৪৭.৬৮ এবং ২০৭৩.৮৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির বা ১৯.৫৭ শতাংশের, কমেছে ২১০টির বা ৫৭.০৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির বা ২৩.৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ১৫২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৫৪ কোটি ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৩ টাকা বা ৫৪.২৮ শতাংশ কম হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১৪ পয়েন্ট বা ২.৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৫০.১২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৪৯.১৯ পয়েন্ট বা ২.৫৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৩৯.৩২ পয়েন্ট বা ১.৯২ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৬.২০ পয়েন্ট বা ২.৯২ শতাংশ এবং সিএসআই ২৩.৮৩ পয়েন্ট বা ২.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫০০.৭৬ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৭৫.২৭ পয়েন্টে, ১ হাজার ২০৩.৫৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩.২২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৭টির বা ১৯.৩২ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৬১টির বা ৫৪.৫৮ শতাংশের কমেছে এবং ৭৭টির বা ২৬.১০ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৯ মার্চ, ২০২১/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সপ্তাহের ব্যবধানে পৌনে ১১ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহে উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। পতনের কারণে সাপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা পৌনে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ৭৫৬ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৬২৭ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ১২১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৬৮ কোটি ১১ লাখ ৯৭ হাজার ১২৫ টাকা বা ২৬.৯২ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৬ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭১৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৯ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬২ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ৩১৯ টাকা কম হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৪.১৬ পয়েন্ট বা ২.১৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৪.৬৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৮.০৯ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮০.৭৮ পয়েন্ট বা ৩.৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়ে ১২৪৭.৬৮ এবং ২০৭৩.৮৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির বা ১৯.৫৭ শতাংশের, কমেছে ২১০টির বা ৫৭.০৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির বা ২৩.৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ১৫২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৫৪ কোটি ৬২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৩ টাকা বা ৫৪.২৮ শতাংশ কম হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১৪ পয়েন্ট বা ২.৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৫০.১২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৪৯.১৯ পয়েন্ট বা ২.৫৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৩৯.৩২ পয়েন্ট বা ১.৯২ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৬.২০ পয়েন্ট বা ২.৯২ শতাংশ এবং সিএসআই ২৩.৮৩ পয়েন্ট বা ২.৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫০০.৭৬ পয়েন্টে, ১২ হাজার ১৭৫.২৭ পয়েন্টে, ১ হাজার ২০৩.৫৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩.২২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৭টির বা ১৯.৩২ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৬১টির বা ৫৪.৫৮ শতাংশের কমেছে এবং ৭৭টির বা ২৬.১০ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/১৯ মার্চ, ২০২১/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: