বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক এশিয়ার ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০) ব্যবসায় লোকসান হয়েছে। এরপরেও ব্যাংকটির আগের বছরের থেকে মুনাফা বেশি হয়েছে। তবে লভ্যাংশের পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ১.৯৭ টাকা। তবে বছর শেষে এই মুনাফার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৭৪ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ০.২৩ টাকা। অন্যথায় ৯ মাসের ব্যবসায় মুনাফা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ি, ব্যাংকটির ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছিল ১.১৬ টাকা। যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ০.২১ টাকা ও তৃতীয় প্রান্তিকে ০.৬০ টাকা হয়েছিল। এতে করে ৩টি প্রান্তিকের একত্রে বা ৯ মাসে ইপিএস হয় ১.৯৭ টাকা।

এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ২০২০ সালের পুরো বছরের যে আর্থিক হিসাব প্রকাশ করেছে, সেখানে ইপিএস দেখিয়েছে ১.৭৪ টাকা। এ হিসাবে শেষ প্রান্তিকে ব্যাংকটির লোকসান হয়েছে। যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে ৯ মাসের ব্যবসায় মুনাফা বাড়িয়ে দেখিয়েছিল।
কোম্পানিটির ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি ১.৯৭ টাকা হিসেবে নিট মুনাফা হয়েছিল ২২৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। যা ১২ মাসে বা পুরো বছরে শেয়ারপ্রতি ১.৭৪ টাকা হিসেবে নেমে এসেছে ২০২ কোটি ৮৭ লাখ টাকায়। অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
শেষ প্রান্তিকে লোকসান সত্ত্বেও কোম্পানিটির আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে মুনাফা বেড়েছে। আগের বছরের ১.৬৮ টাকার ইপিএস এ বছর বেড়ে হয়েছে ১.৭৪ টাকা।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের অর্জিত ২০২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার নিট মুনাফার মধ্য থেকে ১০ শতাংশ হারে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদেরকে ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে। মুনাফার বাকি ৮৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা রিজার্ভে যোগ হবে।
উল্লেখ্য ২০০৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ব্যাংক এশিয়ার বর্তমানে ১ হাজার ১৬৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। শনিবার (২০ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৭.৭০ টাকায়।
বিজনেস আওয়ার/২০ মার্চ, ২০২১/আরএ