ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন : শিশুসহ ৭ জন নিহত

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১
  • 100

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুই শিশু, দুই নারীসহ সাত জন নিহত হয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বালুখালীর ৮-ই ও ডাব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প আগুন লাগে। এর পর দ্রুত আগুন ক্যাম্প-৮ এর ইস্ট, ওয়েস্ট এবং ৯, ১০ ও ১১ নম্বর শিবিরে ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে গেছে দেশি বিদেশি বিভিন্ন এনজিও অফিস ও পুলিশ ব্যারাক।

প্রায় ছয় ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট, সেনাবাহিনী, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও রোহিঙ্গারা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলা মুশকিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান রাতে জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ও সেনাবাহিনীসহ ৭টি ইউনিট কাজ করতে বেশ বেগ পেয়েছে। এরপরও শোকরিয়া যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই নির্ণয় করা কঠিন।

বালুখালী ৮নং এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. শিহাব কায়ছারের মতে, আগুনে বালুখালীতে অবস্থানরত ৪নং এপিবিএনের ব্যারাক আংশিক পুড়ে গেছে। তবে অস্ত্র ও মুল্যবান আসবাবপত্র নিরাপদে সরানো সম্ভব হয়েছে। আগুনে রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘর ছাড়াও বেশকিছু এনজিও অফিস, স্কুল-মাদরাসা পুড়ে গেছে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসু দ্দৌজা নয়ন বলেন, এটি অনেক বড় অগ্নিকাণ্ড। এতে অন্তত কয়েক হাজার ঘর পুড়ে গেছে। কী পরিমাণ রোহিঙ্গাদের বসতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনও নির্ণয় করা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন দাতা সংস্থাসহ সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়ার কাজ চলছে। যে কারণে ঘটনার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একটু সময় লাগবে।

উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাত নিয়ে এখনো তেমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছে জানতে চাইলে তারাও নানা তথ্য দিয়ে আসছে। এমনকি রোহিঙ্গারাই একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছে।

বিজনেস আওয়ার/২৩ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন : শিশুসহ ৭ জন নিহত

পোস্ট হয়েছে : ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুই শিশু, দুই নারীসহ সাত জন নিহত হয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বালুখালীর ৮-ই ও ডাব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প আগুন লাগে। এর পর দ্রুত আগুন ক্যাম্প-৮ এর ইস্ট, ওয়েস্ট এবং ৯, ১০ ও ১১ নম্বর শিবিরে ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে গেছে দেশি বিদেশি বিভিন্ন এনজিও অফিস ও পুলিশ ব্যারাক।

প্রায় ছয় ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট, সেনাবাহিনী, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও রোহিঙ্গারা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলা মুশকিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান রাতে জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ও সেনাবাহিনীসহ ৭টি ইউনিট কাজ করতে বেশ বেগ পেয়েছে। এরপরও শোকরিয়া যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই নির্ণয় করা কঠিন।

বালুখালী ৮নং এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. শিহাব কায়ছারের মতে, আগুনে বালুখালীতে অবস্থানরত ৪নং এপিবিএনের ব্যারাক আংশিক পুড়ে গেছে। তবে অস্ত্র ও মুল্যবান আসবাবপত্র নিরাপদে সরানো সম্ভব হয়েছে। আগুনে রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘর ছাড়াও বেশকিছু এনজিও অফিস, স্কুল-মাদরাসা পুড়ে গেছে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসু দ্দৌজা নয়ন বলেন, এটি অনেক বড় অগ্নিকাণ্ড। এতে অন্তত কয়েক হাজার ঘর পুড়ে গেছে। কী পরিমাণ রোহিঙ্গাদের বসতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনও নির্ণয় করা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন দাতা সংস্থাসহ সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়ার কাজ চলছে। যে কারণে ঘটনার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একটু সময় লাগবে।

উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাত নিয়ে এখনো তেমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছে জানতে চাইলে তারাও নানা তথ্য দিয়ে আসছে। এমনকি রোহিঙ্গারাই একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছে।

বিজনেস আওয়ার/২৩ মার্চ, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: