ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের অর্ধেক ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০
  • 59

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড পেয়েছেন দেশের অর্ধেক সংখ্যক ভোটার। এ পর্যন্ত ৬ কোটি ১ লাখ স্মার্টকার্ড উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। মোট বিতরণ হয়েছে ৫ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার কার্ড। আরো এক কোটি নাগরিকের কার্ড পৌঁছে গেছে উপজেলা পর্যায়ে।

ইসির এনআইডি অনুবিভাগের কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট মোহাম্মদ শফিক জানান, করোনা প্রকোপের মধ্যেও বন্ধ হয়নি স্মার্টকার্ড উৎপাদনের কাজ। তবে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এলে আবারও কার্ড সরবরাহ পুরোদমে চলবে।

এছাড়া ১ কোটি ২ লাখ ফাঁকা কার্ডে তথ্য সন্নিবেশ করার কাজ চলছে। এই কার্ডগুলো অর্থাৎ ৭ কোটি ৩ লাখ কার্ড ফরাসি কোম্পানির কাজ থেকে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বর্তমানে দেশের ভোটার রয়েছে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এ হিসেবে দেশের অর্ধেক সংখ্যক ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অবশিষ্ট ৩ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি কার্ড উৎপাদন ও বিতরণে যেতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।

এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেছেন, আর বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, দেশিয় প্রতিষ্ঠান থেকেই স্মার্টকার্ড তৈরি করে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ২০২১ সালের মধ্যে আড়াই কোটি কার্ড তৈরি করে দেবে।

ফ্রান্সের অবার্থার টেকনোলজিজ নামের প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা স্মার্টকার্ড তৈরি করে নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সময় মত কার্ড সরবরাহ না করতে পারায় স্মার্টকার্ড বিতরণে দেরি হয়েছে। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বিএমটিএফ থেকে কার্ড তৈরি করে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছি।

তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আমাদের আড়াই কোটি স্মার্টকার্ড তৈরি করে দেবে। এতে নতুন ভোটার, সংশোধন, স্থানান্তর ইত্যাদির সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে। পরবর্তীতে যখন যা প্রয়োজন হবে, তাই তৈরি করে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেন। যার ভিত্তিতেই পরবর্তীতে স্মার্টকার্ডের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দেশের অর্ধেক ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড

পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুন ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড পেয়েছেন দেশের অর্ধেক সংখ্যক ভোটার। এ পর্যন্ত ৬ কোটি ১ লাখ স্মার্টকার্ড উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। মোট বিতরণ হয়েছে ৫ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার কার্ড। আরো এক কোটি নাগরিকের কার্ড পৌঁছে গেছে উপজেলা পর্যায়ে।

ইসির এনআইডি অনুবিভাগের কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট মোহাম্মদ শফিক জানান, করোনা প্রকোপের মধ্যেও বন্ধ হয়নি স্মার্টকার্ড উৎপাদনের কাজ। তবে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এলে আবারও কার্ড সরবরাহ পুরোদমে চলবে।

এছাড়া ১ কোটি ২ লাখ ফাঁকা কার্ডে তথ্য সন্নিবেশ করার কাজ চলছে। এই কার্ডগুলো অর্থাৎ ৭ কোটি ৩ লাখ কার্ড ফরাসি কোম্পানির কাজ থেকে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বর্তমানে দেশের ভোটার রয়েছে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এ হিসেবে দেশের অর্ধেক সংখ্যক ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অবশিষ্ট ৩ কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি কার্ড উৎপাদন ও বিতরণে যেতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।

এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেছেন, আর বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, দেশিয় প্রতিষ্ঠান থেকেই স্মার্টকার্ড তৈরি করে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ২০২১ সালের মধ্যে আড়াই কোটি কার্ড তৈরি করে দেবে।

ফ্রান্সের অবার্থার টেকনোলজিজ নামের প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা স্মার্টকার্ড তৈরি করে নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সময় মত কার্ড সরবরাহ না করতে পারায় স্মার্টকার্ড বিতরণে দেরি হয়েছে। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বিএমটিএফ থেকে কার্ড তৈরি করে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছি।

তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আমাদের আড়াই কোটি স্মার্টকার্ড তৈরি করে দেবে। এতে নতুন ভোটার, সংশোধন, স্থানান্তর ইত্যাদির সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে। পরবর্তীতে যখন যা প্রয়োজন হবে, তাই তৈরি করে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেন। যার ভিত্তিতেই পরবর্তীতে স্মার্টকার্ডের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৭ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: