বিনোদন ডেস্ক : ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ রাত ১২টা ১০ মিনিটে সবাইকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন সুদর্শন কণ্ঠশিল্পী খালিদ হাসান মিলু। ১৬ বছর কেটে গেছে তাঁর প্রস্থানের। তাকে আজও মনে করেন শ্রোতারা। তার স্মৃতিচারণে নস্টালজিকও হন অনেকে সোশাল মিডিয়ায়।
তবে যে চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে আমৃত্যু গান করে গেছেন মিলু সেই আঙিনাতে নেই তার কোনো স্মৃতির উত্তাপ। তার জন্ম কিংবা মৃত্যু কিংবা কোনো উপলক্ষেই তাকে নিয়ে কোনো আয়োজন চোখে পড়ে না চলচ্চিত্রাঙ্গনে। অথচ তার কণ্ঠ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছে সিনেমার বহু গান। জনপ্রিয় হয়েছে অনেক সিনেমা। মুনাফা ঘরে তুলেছেন অনেক প্রযোজক।
চলচ্চিত্রের অনেকের মতে, এটা গুণীর কদরের অবমাননার মতো। আজকে মিলুর মতো শিল্পীকে ভুলে যাওয়ার মিছিল দেখে ভয় হয়, একদিন আমাদেরও কেউ মনে রাখবে না! আজ যারা সবকিছুতেই নেতৃত্ব দেন তাদের উচিত মিলুর মতো শিল্পীর গুণ ও ব্যক্তিত্ব সবার সামনে তুলে ধরা। তাহলে নতুন প্রজন্ম আরও একটা মিলুর দেখা পেলেও পেতে পারে।
প্রসঙ্গত, খালিদ হাসান মিলুর সংগীত জীবন শুরু হয় আশির দশকের প্রথম দিকে। তার প্রথম অ্যালবাম ‘ওগো প্রিয় বান্ধবী’। প্রথম অ্যালবাম দিয়েই বাজিমাত করে দিয়েছিলেন তিনি। তার প্রকাশিত অন্যান্য অ্যালবামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘প্রতিশোধ নিও’, ‘নীলা’, ‘শেষ ভালোবাসা’, ‘আয়না’ ইত্যাদি।
১৯৮২ সাল থেকে খাদিল হাসান মিলু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেয়া শুরু করেন এবং প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন তিনি। সেসব গানের বেশিরভাগই ছিল তুমুল শ্রোতাপ্রিয়। তার মধ্যে আজও মুখে মুখে বাজে ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ ছবির ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’ ছবির ‘জীবন ফুরিয়ে যাবে’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’ ছবির ‘অনেক সাধনার পরে’, ‘বাবা কেন চাকর’ সিনেমার ‘আমার মতো এতো সুখী’ ইত্যাদি গান।
তাদের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আরও উল্লেখ করা যায়- ‘সেই মেয়েটি’ ‘কতদিন দেখিনা মায়ের মুখ’, ‘নিশিতে যাইও ফুলবনে’, ‘নীলা তুমি আবার এসো ফিরে’, ‘ও ও রুবি’ ইত্যাদি। তিনি ১৯৯৪ সালে হৃদয় থেকে হৃদয় চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন।
বিজনেস আওয়ার/২৯ মার্চ, ২০২১/এ